প্রতীকী ছবি।
সাত বিধায়কের সাসপেশন প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি সোমবার বিধানসভায় আচার্য বিল নিয়েও বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়কেরা। পদ্ম-শিবিরের অভিযোগ, আচার্য বিলের বিপক্ষে তাঁদের ৫৭ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কিন্তু ভোট গৃহীত হয়েছে ৪০ জনের। তাই এই গণনায় দুর্নীতি অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, আচার্য নিয়োগ বিল অর্থাৎ, ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ’ল (সংশোধনী) বিল, ২০২২’ নিয়ে সোমবার বিধানসভায় ভোটাভুটির দাবি জানিয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। এর পর বিলের পক্ষে ১৮২ এবং বিপক্ষে ৪০টি ভোট পড়ে। ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের ১৮২ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। সকলেই ভোট দিয়েছেন।’’
আচার্য বিল নিয়ে বিজেপি আদালতে যাবে বলে সোমবার জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাজেট অধিবেশনেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু-সহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করায় তাঁরা বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারেননি। তবে বিধানসভা চত্বরে প্রবেশাধিকার রয়েছে। আচার্য বিল পাশের পর শুভেন্দুর কাছে অভিযোগ জানাতে যান বিজেপি বিধায়করা। ঘটনা শুনে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এই ভোটেও কারচুপি!’’
এর আগে সোমবার বিধানসভা চত্বরে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘রিটায়ারমেন্ট হয়ে যাবে, তবু কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হতে পারবেন না। এই বিল পাশ হওয়ার পর তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। তিনি অনুমোদন দিলে তার পর তা যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য। আমি শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই, রাজ্যের নাম বঙ্গ করার প্রস্তাব বা বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হয়ে দিল্লিতে পড়ে রয়েছে। পাশ হচ্ছে না। তাই আচার্য বিলেরও সেই একই অবস্থা হবে।’’ বিজেপি শিবিরের তরফে সোমবার সকালে সাত বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি তোলা হলেও স্পিকার তা খারিজ করে দেন। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ