কমিটির মাধ্যমে আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে এ বার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি গঠন করলেন পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন (ভিবিইউএফএ), ছাত্রছাত্রী ঐক্যমঞ্চ, আশ্রমিক সংঘ থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির মতো স্থানীয় সংগঠনও। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো শিক্ষকদের একাংশের দাবি, এই কমিটি গঠনেই প্রমাণিত যে বিশ্বভারতীর ভিতরে-বাইরে আন্দোলনের পরিধি বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের পর কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে আন্দোলনকারীরা। বুধবার হাই কোর্টে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাখিল করা আবেদনের ভিত্তিতে দু’পক্ষের শুনানির পর রায়দান হওয়ার কথা। সেই রায়ের পরেও আন্দোলন যাতে সমান গতিতে চালিয়ে নেওয়া যায়, সে জন্যই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। সেই আবেদনের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে হাই কোর্টের নির্দেশে উপাচার্যের বাসভবন থেকে পড়ুয়াদের অবস্থান-বিক্ষোভের মঞ্চ ৫০ মিটার দূরে সরেছে। বিশ্বভারতী চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ বা মাইক, ব্যানার অথবা ফেস্টুনের সাহায্যে আন্দোলনের প্রচারও বন্ধ করতে হয়েছে। তবে তাতে আন্দোলনে ভাটা পড়েনি বলে পড়ুয়াদের দাবি। উল্টে রবিবার থেকে বিশ্বভারতীতে অনশনে বসেছেন সঙ্গীত ভবনের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এ বার কমিটি গড়ে আন্দোলনের গতি বাড়ানোর বার্তাই দেওয়া হল বলে মনে করছেন অনেকে। এই কমিটিতে ভিবিইউএফএ, এপিডিআর ছাড়াও রয়েছে অস্থায়ী কর্মী সংগঠন, আলাপিনী মহিলা সমিতি, কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতির মতো সংগঠনও। ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “বিশ্বভারতীর ভিতরে ও বাইরে যে এ আন্দোলন সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা বোঝাতেই এই জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি তৈরি করা হল।” কমিটিতে সুদীপ্ত ছাড়াও রয়েছেন সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল সিংহ, মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলেন মিশ্র, আমিনুল হুদা, পঞ্চানন খাঁ, ঋতম কর, স্বপ্ননীল মুখার্জি এবং শ্রাবন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর বহিষ্কৃত ছাত্র তথা এক আন্দোলনকারী সোমনাথ সৌ-এর দাবি, “এই কমিটি গঠনে পড়ুয়াদের আন্দোলনে সুবিধা হবে। ওরা (কমিটির সদস্যরা) আগেও আমাদের পাশে থেকে সমর্থন করছিলেন। এ বার কমিটির মাধ্যমে আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”