সনিয়া এবং মমতা। নিজস্ব চিত্র।
ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। মঙ্গলবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেবে না। কোনও প্রচার করবে না।’’
সোমবার অধীরের উপস্থিতিতে বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এক বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভবানীপুরে বামেদের সমর্থনে ভোটে লড়াই করা হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে দেওয়া হয়েছিল। মাস দুয়েক আগে অধীর জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পরে যিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সেই মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী তাঁরা দিতে চান না। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা।
তবে সোমবারের বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের ৮ জন নেতার মধ্যে ৬ জনই ভবানীপুরে ভোটে লড়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ফলে গৃহীত হয়েছিল প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব। কিন্তু সেই প্রস্তাব মঙ্গলবার নাকচ করেছে এআইসিসি।
ভবানীপুরে মমতার সমর্থনে কংগ্রেসের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যে কং-বাম জোটে কি ইতি টানতে চলেছে? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দু’একটি বিষয়ের উপর জোটের ভাঙা, না-ভাঙা নির্ভর করে না। অধীর চৌধুরী আগে যখন বলেছিলেন ভবানীপুরে তাঁরা প্রার্থী দিতে চান না, তখন আমরা বলেছিলাম ওঁরা না দিলেও, বামেরা প্রার্থী দেবে। এখন যখন ওঁদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, তখন আমরাই প্রার্থী দেব।’’
ভবানীপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভবানীপুরে বিপুল ভোটে জিতবেন তা নিয়ে কারও সংশয় নেই। কিন্তু আমরা ভবানীপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের নেত্রী বরাবর চাইছেন, যে দানবীয় শক্তি আজ ভারতবর্ষে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করছে, বিভিন্ন বিরোধী দল এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে তার বিরুদ্ধে এক যোগে লড়াই করুক।’’