—প্রতীকী চিত্র।
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বৈঠকের বিষয়ে বাইরে মুখ খোলার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হল বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ-এর সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে।
শো-কজ় নোটিসে বলা হয়েছে, ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বেশ কিছু সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সুদীপ্তবাবু বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা ও সিদ্ধান্তের কথা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এই ঘটনা বিশ্বভারতীর কর্মসমিতি ও কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। তাঁর এই আচরণকে কেন নিয়মভঙ্গ হিসেবে দেখা হবে না এবং কেন তার বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা কর্মসচিবকে জানাতে বলা হয়েছে সুদীপ্তবাবুকে।
গত ৯ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকার ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপাচার্যের বক্তব্যের অংশবিশেষ প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য-সহ পাঁচ জনকে কাছে মেল করে ভিবিইউএফএ। ওই বৈঠকে উপাচার্য অমর্ত্য সেন সম্পর্কে কিছু ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য রাখেন বলে তাদের অভিযোগ ছিল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে ই-মেল করে সুদীপ্তবাবু জানতে চান তিনি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কি না। সহকারীর সাহায্যে ই-মেলে অমর্ত্য সেন জানান, উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর কোনও কথোপকথন হয়নি।
বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারও কাছে অধ্যাপক বা কর্মীরা খুলতে পারবেন না বলে গত বছর নির্দেশ জারি করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শো-কজ়ের প্রতিক্রিয়ায় ভিবিইউএফএ সূত্রে জানানো হয়েছে, “ওই নির্দেশের ভিত্তিতে এই নোটিস। কিন্তু, নির্দেশটি বর্তমানে বিচারাধীন। তাই আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই উত্তর দেওয়া হবে।’’ এ দিনই বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কারা কারা ভিবিইউএফএ-র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা এর উত্তর দেবেন না, তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন বলেই ধরা হবে।