Amartya Sen

অমর্ত্যের সঙ্গে উপাচার্যের কথা হয়েছিল, দাবি বিবৃতিতে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২২
Share:

—ফাইল চিত্র।

অমর্ত্য সেনের সঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কথোপকথন হয়েছিল বলেই দাবি করল বিশ্বভারতী। বুধবার বিশ্বভারতীর সহকারী কর্মসচিব তথা ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই দাবি করেছেন।

Advertisement

বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র তরফে অভিযোগপত্রে জানানো হয়, ৯ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্য দাবি করেন, এক দিন অমর্ত্য সেন তাঁকে ফোন করে নিজেকে ‘ভারতরত্ন’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করেন, তাঁর বাড়ির সামনে থেকে হকারদের উচ্ছেদ না করতে। অভিযোগপত্রটি অমর্ত্য সেনকে পাঠিয়ে ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানতে চান, তিনি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কি না। ১৫ ডিসেম্বর নিজের সহকারীর সাহায্যে ই-মেলে অমর্ত্য সেন জানান, উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর ওই ধরনের কোনও কথোপকথন হয়নি। একই সঙ্গে তিনি জানান, বিশ্বভারতী সাধারণের চলাচলের পথ আটকে প্রাচীর নির্মাণ করছে।

এ দিনের বিবৃতিতে বিশ্বভারতী দাবি করেছে, ২০১৯ সালের ২ অথবা ১৪ জুন উপাচার্য দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরছিলেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ফেরার পথে জনৈক অরবিন্দ তাঁকে ফোন করে বলেন, অমর্ত্য সেন কথা বলতে চান। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি, ফোনকলটি নেওয়ার পরে, অধ্যাপক সেন তাঁর পৈতৃক বাড়ির দু’ধারে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানগুলি ভেঙে দেওয়ার জন্য সমালোচনা করেন। বলা হয়, ‘সহজে আনাজপাতি কেনা বা ধরা যাক তাঁর মেয়ের টায়ার পাংচার হয়ে গেলে তা সহজে সারিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ফলে সমস্যা হবে’। বিবৃতিতে দাবি, উপাচার্যই ছিলেন অভিযোগের লক্ষ্য। কারণ, তাঁর প্রশাসনই ‘অবৈধ দখলদারি’ মুক্ত করে বিশ্বভারতীর জমি পুনরুদ্ধার করছিল।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়, বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘জমির দখলদারি খুবই সাংঘাতিক সমস্যা, যা সাধারণত স্বার্থপরায়ণ ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের প্রভাব-প্রতিপত্তির ভয়ে চেপে যাওয়া হয়।’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই প্রতিক্রিয়াটি বিশেষ ভাবে অধ্যাপক সেনের উদ্দেশেই করছেন না, তা ভিবিইউএফএ-এর তথাকথিত ‘বামপন্থী’ সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের তরফে এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়া দিতে অপারগতার কথা জানিয়েছেন তাঁর কন্যা অন্তরা দেব সেন। তিনি এ দিন বলেন, "কিছু ভুল কথা ছড়ানো হয়েছিল। অধ্যাপক সেন তা খারিজ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এখন কেউ একটা কথা বলতে থাকলে তো বার বার তার জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের কাছে এটা একটা নন-ইস্যু, যা জিইয়ে রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের নতুন করে কিছু বলার নেই।’’

এ দিনের বিবৃতিতে ভিবিইউএফএ-এর তথাকথিত ‘বামপন্থী’ সহকর্মীদের অভিযোগ করা হয়েছে, ‘তাঁরা বারবার বলা সত্ত্বেও বৈঠকে কোনও গঠনমূলক প্রস্তাব না দিয়ে, নিশ্চুপ থেকে বৈঠক শেষ হওয়া মাত্রই সহকর্মীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের তথ্য বাইরে ছড়িয়ে দিয়ে বাহবা কুড়োন’। ওই সংগঠনের নেতৃত্বস্থানীয় অধ্যাপকের প্রতিক্রিয়া, “যদি কর্তৃপক্ষ কোনও এমন তথ্য দেন, যা সন্দেহের উদ্রেক ঘটায়, তবে প্রতিষ্ঠান ও সমাজের স্বার্থে তথ্য যাচাই করে সত্যকে সামনে নিয়ে আসা ভিবিইউএফএ-র নৈতিক দায়িত্ব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement