প্রতীকী ছবি।
করোনা-সহ নানা রোগে আক্রান্তের দেহ জঙ্গলে দাহ করাকে ঘিরে খণ্ডযুদ্ধ বাধল পুলিশ ও জনতার। তবে দাহকার্যে বাধা পড়েনি। বুধবার রাতে বাঁকুড়ার জয়পুরের ঘটনা।
যদিও এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী বৃহস্পতিবার দাবি করেন, ‘‘বসতি থেকে অনেক দূরে জঙ্গলে দাহ করা হচ্ছিল। আপত্তি জানিয়ে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ কয়েক জনকে আটক করে। লাঠি চালানো হয়নি।’’
বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “জয়পুরের বাসিন্দা ৫৪ বছরের ওই প্রৌঢ়ের শ্বাসকষ্ট থাকায় সোমবার তাঁকে ওন্দার কোভিড-হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে।’’ ওন্দার কোভিড-হাসপাতালের সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, “করোনা সংক্রমণ ছাড়া, ওই ব্যক্তির বিভিন্ন অঙ্গও কাজ করছিল না। বুধবার মারা যান।’’ জয়পুরের জঙ্গলে মৃতদেহ, মৃতের ছেলে ও ডোমকে নিয়ে প্রশাসন এবং পুলিশের আধিকারিকেরা রাত ৯টা নাগাদ পৌঁছন। দাহ শুরু হতেই কয়েকশো মানুষ বাধা দেন। প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশকর্মীরা সরাতে গেলে, দু’পক্ষে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বাসিন্দাদের দাবি, ‘‘জঙ্গলে পাতা, কাঠ কুড়িয়ে সংসার চালান অনেকে। জঙ্গলে করোনা-আক্রান্তের দেহ দাহ করে প্রশাসন ঠিক করেনি।’’ এসডিও (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্তের দাবি, ‘‘ধারেকাছে গ্রাম না থাকায় ওই জায়গা বাছা হয়।’’