Covaxin

টিকা-জট বহাল বিদেশযাত্রায়

বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে যোগদানের সময় এগিয়ে আসছে। কিন্তু সেখানে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের টিকা-জট কাটছেই না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২১ ০৭:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে যোগদানের সময় এগিয়ে আসছে। কিন্তু সেখানে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের টিকা-জট কাটছেই না। কোভ্যাক্সিনকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না আমেরিকায়। তাই পড়ুয়াদের এখানেই কোভশিল্ডের দু'টি ডোজ় নিতে হবে। কিন্তু দু'টি ডোজ়ের মধ্যে ৮৪ দিনের ব্যবধান রাখার নিয়ম চালু হওয়ায় প্রথমেই বিপদে পড়েছিলেন পড়ুয়ারা। তার পরে, জুনের প্রথম দিকে কেন্দ্র ঘোষণা করে, ওই পড়ুয়ারা ২৮ দিনের ফারাকে কোভিশিল্ডের দু'টি ডোজ় নিতে পারবেন। তবু সমস্যা মেটেনি বলেই পড়ুয়াদের অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, এই বিশেষ কোভিশিল্ড (২৮ দিনের ফারাকে দু'টি ডোজ়) কোথায় দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে সরকারের তরফে কোনও স্পষ্ট ঘোষণা নেই। তাঁদের প্রশ্ন, সরকারি না বেসরকারি, নাকি দুই জায়গাতেই এই বিশেষ টিকা দেওয়ার কথা? কো-উইন অ্যাপে সব হাসপাতালের স্লট মিলছে না। প্রথম ডোজ় যেখানে খুশি নিয়ে, দ্বিতীয় ডোজ় কোনও বিশেষ জায়গায় নিতে হবে কি? যাঁরা বিদেশে পড়তে যাচ্ছেন, প্রথম ডোজ় নেওয়ার সময় তাঁদের কি পাসপোর্ট লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক? বিদেশের পথে এই পড়ুয়ারা প্রথম ডোজ় নেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ় যে পাবেনই, সেটা সরকার নিশ্চিত করছে তো?

Advertisement

প্রশ্ন আছে আরও। যাঁরা ২৮ দিনের ফারাকে কোভিশিল্ড নেবেন, তাঁদের কি প্রথম ডোজ়ের সময়েই বিদেশে যাওয়ার প্রমাণস্বরূপ যাবতীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে? তোর্সা চক্রবর্তী গবেষণা করতে এই ‘ফল সেশন’-এ আমেরিকা যাচ্ছেন। শুক্রবার তিনি জানান, আমেরিকায় গিয়ে ফাইজ়ার বা মডার্না নিলেও চলে। কিন্তু ওখানে বাড়ি খুঁজতে গিয়ে যদি দেখা যায়, ভ্যাক্সিনেটেড না-হলে বাড়ি ভাড়া পেতে সমস্যা হচ্ছে, তা হলে মুশকিল। তাঁর কথায়, ‘‘তাই কোভিশিল্ড নিয়েই যাব। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও সাইটে তথ্য নেই।’’

একই সমস্যায় পড়েছেন শুভ্রজিৎ ঘোষও। আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে যাচ্ছেন তিনি। জুনের প্রথমে কেন্দ্রের ঘোষণার পরেই তিনি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ় নেন। তার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ়ের খোঁজ করতে গিয়ে দেখছেন, এই বিষয়ে কেউই কিছু জানে না। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কেন্দ্রের ‘এসওপি’ মোতাবেক রাজ্যও নির্দেশিকা জারি করেছে। সেটি স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, রাজ্য স্তরে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (টিকাকরণ), কলকাতার পুরসভার কমিশনার কিংবা তাঁর অনুমোদিত ব্যক্তি এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে উপযুক্ত নথি দিয়ে আবেদন করলে দ্বিতীয় ডোজ়ের বিশেষ অনুমতি মিলবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement