কামারহাটিতে জোড়া খুনে অভিযুক্ত (ইনসেটে) সজল চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
পুকুরের জলে এক যুবকের দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুকুর থেকে ওই যুবকের দেহ তোলার পর তাঁর বাড়ি থেকে আরও দু’টি দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভাই এবং অসুস্থ দিদিকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কামারহাটির বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কামারহাটি পুরসভা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া এলাকায় প্রিয়নাথ গুহ রোডে একটি আবাসন থেকে রাণু চৌধুরী (৫০) এবং তাঁর ভাই বিমল চৌধুরী (৪৬)-র দেহ পাওয়া গিয়েছে। এলাকার একটি পুকুরে ভাসছিল বিমলের দাদা সজল চৌধুরীর দেহ। ওই আবাসনে ৩ ভাইবোন একসঙ্গে থাকতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে এলাকার একটি পুকুরে সজলের দেহ ভাসতে দেখেন তাঁরা। পুলক চট্টোপাধ্যায় নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পুকুরে একটি দেহ ভেসে উঠেছিল। সেটি আমাদের পরিচিত সজল চৌধুরীর। তাঁর দেহ তুলে পুলিশ এসে দেখে সজলের বাড়িতে আরও দু’টি দেহ পড়ে রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়েছিলেন সজলের দিদি। বাড়িতে তিন ভাইবোন একসঙ্গে থাকতেন। কাজল নামে সজলদের এক দাদাও ছিলেন। তবে এখন তিনি কোথায় থাকেন, তা আমরা কেউ জানি না।’’ আর এক বাসিন্দা কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এটা অস্বাভাবিক মৃত্যু। মনে হচ্ছে, সজল আত্মহত্যা করেছে।’’
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়াকে ফোন করা হলেও তা ধরেননি তিনি।