কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী হাজিরা দিলেন সিবিআই দফতরে। ফাইল ছবি।
কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী হাজিরা দিলেন সিবিআই দফতরে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাই কোর্টের নির্দেশে তারা এই মামলার তদন্ত করছে।
মঙ্গলবার কলকাতায় সিবিআই দফতরে এসে হাজিরা দেন কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী। সিবিআই দফতরে তাঁরা ঘণ্টাখানেক ছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা।
কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের মোট ৩ জন পুলিশকর্মীকে তলব করেছিল। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে এসেছিলেন ২ জন। বুধবার আরও এক জন সিবিআই দফতরে এসে হাজিরা দেবেন।
কাঁথিতে টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে এফআইআর’ দায়েরের অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারী রামচন্দ্র পণ্ডা। গত বছর ২৮ ডিসেম্বর ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে ঠিকাদার রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুলিশ। এর পর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভায় টেন্ডার সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত এই রামচন্দ্র।
হাই কোর্টে রামচন্দ্র জানান, এই অভিযোগের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এর আগেও কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। যে এফআইআর করা হয়েছে তা সাজানো।
রামচন্দ্রের দাবির সত্যতা রয়েছে বলে সম্প্রতি আদালতে স্বীকার করে নেন কাকলি। তাঁর দাবি, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যের এক প্রভাবশালী জোর করে তাঁকে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করান। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কারণে তিনি ওই নাম আদালতকে জানাননি। এর পর আদালত সাজানো এফআইআর-এর নেপথ্যে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ দিকে, কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।