প্রতীকী ছবি।
দেশের সব প্রান্তেই বায়ুদূষণের দাপট চলছে। সেই বিপদ সামাল দিতে বিভিন্ন রাজ্যের জন্য ৪৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে ‘কল্যাণকর’ মনে হলেও এই টাকা ব্যবহারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশবিদেরা, শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্কও। তার মূলে আছে শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা। তিনি জানান, যে-সব শহরের জনসংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি, বায়ুদূষণের বরাদ্দ থেকে খরচ করা হবে সেই সব শহরের জন্যই।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রের প্রশ্ন, হলদিয়া, আসানসোল, ব্যারাকপুরে দূষণ অত্যধিক, কিন্তু ওই সব শহরের জনসংখ্যা ১০ লক্ষের কম। সেখানে বায়ুদূষণ রোধের কর্মসূচির টাকা আসবে কোথা থেকে? বাজেটে অপ্রচলিত শক্তি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। দূষণ সৃষ্টিকারী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সেই জমি বিকল্প কাজে ব্যবহার করা হবে। বিতর্ক চলছে এই সিদ্ধান্ত নিয়েও। কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘অপ্রচলিত শক্তির পরিস্থিতি উন্নত না-করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার নীতি বাস্তবসম্মত নয়।’’
নদী-দূষণ ঠেকাতে জোরালো পরিকল্পনা কোথায়, উঠছে সেই প্রশ্নও। বাজেটে নদী সংযুক্তি খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। বহু পরিবেশবিদের বক্তব্য, এই সব প্রকল্পের ফলে চূড়ান্ত ক্ষতি হবে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের। ‘‘নদী সংযুক্তির কাজ চালালে উত্তর ভারতেই সব নদীর জল আটকে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে নদীর জল কমবে, জনজীবন ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে,’’ বলছেন কল্যাণবাবু।
সীতারামন জানান, ২০১৫ সালে প্যারিসের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে ভারতের সই করা চুক্তি আগামী ১ জানুয়ারি কার্যকর হবে।