প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ লকডাউন বা ঘরবন্দিদশায় পঠনপাঠন এবং পরীক্ষা কী করে হবে, তা খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অনলাইনে পঠনপাঠন ব্যবস্থার আরও উন্নতির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক শুরু করেছেন ‘ভারত পড়ে অনলাইন’ অভিযান। এই বিষয়ে শিক্ষক, পড়ুয়া-সহ সকলের মতামত চেয়েছেন তিনি।
করোনা-আবহে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষা চালাবে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা শিবিরে। উদ্বিগ্ন ছাত্রছাত্রীরাও।
ইউজিসি-র সাত সদস্যের কমিটির রিপোর্ট আজ, সোমবার জমা পড়ার কথা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস রবিবার বলেন, ‘‘ইউজিসি-র ওই কমিটি রিপোর্ট কী বলে, সেটা আমরা দেখব। তার পরে এই পরিস্থিতিতে কী করা যায়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুধু তো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ রয়েছে। তাই কলেজে পরীক্ষা কী ভাবে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাই বা কী ভাবে হবে, সেই বিষয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর নিশ্চয়ই নির্দেশ দেবে। সেই নির্দেশ মেনেই তাঁরা এগোবেন।
এর আগে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার বদলের বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করতেও বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী জানান, তাঁরাও ইউজিসি-র ওই কমিটির রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে বিষয়গুলি আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষা নিয়ে তাঁরা খুবই চিন্তিত। ‘‘বোঝাই যাচ্ছে, আগামী দিনে আমরা সকলেই বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছি,’’ বলেন বাসববাবু। রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৪৭৮টি বিএড কলেজ। উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের সব কলেজের সিমেস্টার পরীক্ষা ডিসেম্বরে হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সিমেস্টার জুনে। তাই এই মুহূর্তে পরীক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। প্রতিটি কলেজে অনলাইনে পঠনপাঠন চলছে। তিনি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির সঙ্গে টেলি-কনফারেন্সে কথা বলছেন।