প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দরজার আংটা থেকে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। কী ভাবে দরজার খিল থেকে এক জন ঝুলে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। যদিও মৃতার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী কোনও ভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির স্থানীয় থানার এক কনস্টেবলের দিকে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। সব অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের অমেঠীর আবাস বিকাশ কলোনিতে বন্ধ ঘর থেকে দিব্যা আগরাহরি নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্বামী অলোক প্রথমে নিজের স্ত্রীর দেহ দেখতে পান। কিন্তু দেহ উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে তদন্তকারীদের। অলোকের দাবি, ‘‘কোনও মানুষের পক্ষে দরজার আংটা থেকে ঝুলে পড়া সম্ভব নয়। আমাদের মধ্যে সম্প্রতি এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করবেন।’’ তার পরই অলোকের অভিযোগ, মাস তিনেক আগে তাঁদের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছিল। তখন দিব্যা পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করেন। মৃতার স্বামীর দাবি, ‘‘দিব্যার ফোন পেয়ে রবি শুল্ক নামে এক কনস্টেবল এসেছিলেন। তখন আমার স্ত্রীর কাছ থেকে ফোন নম্বর নেন। সেই থেকে নিয়মিত আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তিনি। মাঝেমধ্যেই আমাদের বাড়িতে কারণ ছাড়াই আসতেন। দিন তিনেক আগে এসে তিনি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে তাঁর মোবাইল নিয়ে যান। যেটা এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না।’’
অলোকের অনুমান, রবি এবং দিব্যার মধ্যে কথোপকথন গোপন করতেই স্ত্রীর ফোন নিয়ে গিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল। তাঁর কথায়, ‘‘আজ সকাল ৯টা নাগাদ আমি কাজে বার হই। দুপুরে যখন বাড়ি ফিরি, তখন দেখি দরজার আংটা থেকে আমার স্ত্রীর দেহ ঝুলছে। আমার বিশ্বাস রবিই খুন করেছেন। আমার স্ত্রী কখনই আত্মহত্যা করতে পারেন না।’’ সার্কল ইনস্পেকটর মনোজ মিশ্র জানান, খুন না আত্মহত্যা তা স্পষ্ট হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই। অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে, উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।