রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
কাজ়াখস্তানে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় এ বার ক্ষমা চাইলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার আকাশ সীমানায় এ হেন দুর্ঘটনার জন্য আজ়ারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম অলিয়েবের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে ইউক্রেনকেও নিশানা করল রাশিয়া।
শনিবার ক্রেমলিনের তরফে বিবৃতি দিয়ে কাজ়াখস্তানে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে পুতিনের বক্তব্য জানিয়েছে। তাদের কথায়, ‘‘ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।’’
বিমান দুর্ঘটনায় কেন ক্ষমা চাইলেন পুতিন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। সেখানে উঠে আসছে দু’টি তত্ত্ব। তার মধ্যে অন্যতম পাখির ঝাঁকের সঙ্গে বিমানের ধাক্কা। এ ছাড়া, দ্বিতীয় তত্ত্বে বলা হচ্ছে, ভুলবশত ইউক্রেনের বিমান ভেবে রাশিয়া ওই যাত্রিবাহী বিমানটিকে গুলি করে নামিয়েছে। আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্স এ বিষয়ে বিবৃতিও জারি করেছে। তাদের দাবি, দুর্ঘটনার নেপথ্যে ‘বহিরাগত এবং প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপ’ হতে পারে। সরাসরি কারও নাম করেনি বিমান সংস্থাটি। তবে তারা জানিয়ে দিয়েছে, অভ্যন্তরীণ কোনও কারণে বিমান ভেঙে পড়েনি। ‘বহিরাগত এবং প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপ’ বলতে কি রাশিয়ার গুলি করে বিমান নামানোর কথা বলছে ওই এয়ারলাইন্স? সেই আবহেই পুতিনের ক্ষমা চাওয়া নতুন করে সেই জল্পনা উস্কে দিল।
যদিও পুতিনের ক্ষমা চাওয়ার নেপথ্যে কার ব্যাখ্যা করেছে ক্রেমলিন। কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব তীরে কাজ়াখস্তানের আকতু শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। তাতে বিমানকর্মী-সহ মোট ৬৭ জন ছিলেন। গ্রজ়নিতে ঘন কুয়াশার কারণে ওই বিমানের গতিপথ পরিবর্তিত হয়। কাজ়াখস্তানে জরুরি অবতরণ করতেও চেয়েছিলেন পাইলট। ক্রেমলিন জানায়, সে সময় গ্রজ়নি, মজ়ডক এবং ভ্লাদিকাভকাজ়ে ইউক্রেনের আকাশযান আক্রমণ করেছিল। রাশিয়ার বিমানবাহিনী সেই হামলা প্রতিহত করতে ব্যস্ত ছিল। তবে রাশিয়ার বিমানবাহিনী ছোড়া গুলি আজ়ারবাইজান বিমানে লেগেছিল কি না, তা স্পষ্ট করেনি মস্কো।