গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
শনিবার সকালে সন্দেশখালিতে হঠাৎ হাজির হল সিবিআই গোয়েন্দাদের জোড়া দল। শাহজাহানের খাস এলাকা থেকে সিবিআইয়ের কাছে বহু লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই সমস্ত অভিযোগের কথা সরাসরি অভিযোগকারীদের মুখ থেকেই শুনতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
দিন দশেক আগেই কলকাতা হাই কোর্ট একটি বিশেষ নির্দেশে জানিয়েছিল, সন্দেশখালির মানুষ চাইলে সরাসরি সিবিআইকেই তাঁদের অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন। এ ব্যাপারে সিবিআইকে একটি মেল আইডি তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। তার পর থেকেই সন্দেশখালি থেকে আসা লিখিত অভিযোগ উপচে পড়েছে সিবিআইয়ের মেলবক্সে।
ইমেলে আসা সেই সব অভিযোগে কোথাও বলা হয়েছে জমি দখলের কথা, কোথাওবা নারী নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। এর বাইরেও নানা বিষয় নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সন্দেশখালির মানুষ। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই সমস্ত অভিযোগের বিষয়বস্তু সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দু’টি দল গিয়েছে সন্দেশখালিতে।
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। সেই শাহজাহান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিবিআই হেফাজত এবং তার পরে ইডি হেফাজতে থাকার পর আপাতত জেলে। গ্রেফতার হয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার শাগরেদরাও। অন্য দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে বেশ কিছু মামলাও চলছে হাই কোর্টে।
সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতেই সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালি নিয়ে একটি ইমেল চালু করার নির্দেশও দেয়। যেখানে মূলত সন্দেশখালির মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ এবং জমি দখলের ঘটনার অভিযোগ জানানো যাবে এবং মহিলাদের পরিচয় গোপন করা যাবে।
আদালতের ওই নির্দেশের পরই ইমেল আইডি তৈরি করে সিবিআই। জেলাশাসকের মাধ্যমে এবং এলাকার সংবাদপত্রে নোটিস দিয়ে ওই ইমেল আইডি প্রচারের ব্যবস্থাও করে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে তার ১০ দিনের মধ্যেই সন্দেশখালি নিয়ে বহু লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। শুক্রবার সেই সমস্ত অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছে সিবিআই।