ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কালীপুজোর আনন্দ মাটি হতে পারে। প্রতীকী ছবি।
কালীপুজোর আনন্দ কি এ বছর মাটি হতে চলেছে! আলিপুর আবহাওয়া দফতর যা পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে কপালে ভাঁজ বঙ্গবাসীর। নিম্নচাপ ক্রমেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেখানেই শেষ নয়। শক্তি বাড়িয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানাল হাওয়া অফিস। তার ফলে কালীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে আন্দামান অঞ্চলে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। ক্রমেই তার পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
২৩ অক্টোবর, রবিবার অর্থাৎ কালীপুজোর ঠিক আগের দিন এই নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। তার পর তা বাঁক নিয়ে উত্তরের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২৪ অক্টোবর, সোমবার অর্থাৎ কালীপুজোর দিন পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ফলে কালীপুজোর দিন সমস্যায় পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গবাসী।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ক্রমেই উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে। ২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার তা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছতে পারে। এর প্রভাবে দক্ষিণ বঙ্গের তিন জেলা— উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের দাবি, আগামী শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে শনিবারের পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২৩ অক্টোবর, রবিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যে সব মৎস্যজীবী সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ২২ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।