শনিবারের পর থেকে ভোল বদলাতে পারে আকাশের। ফাইল চিত্র।
আশঙ্কাই ক্রমশ সত্যি হচ্ছে। সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! আন্দামান সাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপটি ২২ অক্টোবর, শনিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আরও ৪৮ ঘণ্টা পর শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার ফলে কালীপুজোর আনন্দ মাটি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ কোন দিকে থাকবে বা কোথায় আছড়ে পড়বে, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে শনিবার যখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে, তখন তার অবস্থান থাকবে মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এর পরের ৪৮ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ যখন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, তখন সেটির অবস্থান থাকবে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে।
নিম্নচাপটির অবস্থান ও গতিমুখ দেখে আবহবিদরা মনে করছেন, ২৪ অক্টোবর, সোমবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ওই দিনই কালীপুজো। ফলে আলোর উৎসবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটায় আঁধার নামতে পারে, এই শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে শনিবারের পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২৩ অক্টোবর, রবিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যে সব মৎস্যজীবী সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ২২ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রোদের দেখা পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক ভাব বজায় থাকবে। ভোরের দিকে হিমেল ভাব মালুম হবে।