জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব পেলেন কীর্তি আজাদ, বাবুল সুপ্রিয় ও মুকুল সাংমা। ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র হলেন বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন বাবুল স্বয়ং। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র নির্বাচিত করার জন্য দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। আপনি আমায় যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালনের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। তারপরেই আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। গত এপ্রিলে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, মে মাসে বাংলায় ভোট বিপর্যয়ের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বাবুলকে। তার কয়েক মাস পরে প্রথমে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বাবুল। কিন্তু পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই দলেই এ বার গুরুত্ব বাড়ল এই গায়ক-রাজনীতিকের।
বাবুল টুইট করে এ কথা জানালেও, এখনও তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর জাতীয় মুখপাত্র পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূতরের খবর, দলের তরফে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলনেত্রী ও অভিষেককে ট্যাগ করে বাবুলের টুইটকেই তৃণমূল নেতৃত্বের সায় হিসেবে দেখছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। তৃণমূলে যোগদানের মাত্র সাড়ে আট মাসের মধ্যেই বাবুলকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ ও মেঘালয়ের নেতা মুকুল সাংমাকেও জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কীর্তি গত বছর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরেই গোয়া তৃণমূলের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে তাঁকে। আর আগামী বছর মেঘালয়ে ভোট। সেই ভোটের কথা মাথায় রেখেই দায়িত্ব দেওয়া হল মুকুলকে। তাঁর নেতৃত্বেই মেঘালয়ের ভোটে লড়াই করবে তৃণমূল। মুকুলের নেতৃত্বে ১২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়াতেই মেঘালয় বিধানসভার বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে মমতার দল। সেই সব সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই জাতীয় মুখপাত্র করা হল মেঘালয়ের মুকুলকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, কীর্তি ও মুকুলকেও তাঁদের নিয়োগের কথা জানিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।