AITC

Ballygunge By-Election: বালিগঞ্জে জিতেও দুই ওয়ার্ডে হার কেন? রমজান মিটলেই উত্তর খুঁজবে তৃণমূল

প্রসঙ্গত, রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ভোটব্যাঙ্ক এখন তৃণমূলের দখলে। সেই ভোটের উপর ভর করেই তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জোড়া ওয়ার্ডে কেন তৃণমূলকে ফেলে এগিয়ে গেল সিপিএম? এমন হার থেকে দ্রুত শিক্ষা নিতে চাইছে বাংলার শাসকদল।

 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৪
Share:

বালিগঞ্জে বাবুলের জয়েও তৃণমূলের কাঁটা দুই ওয়ার্ডে হার। ফাইল চিত্র।

ভোটের ব্যবধান কমলেও জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু এই উপনির্বাচনেই বালিগঞ্জের অন্তর্গত দু'টি ওয়ার্ডে পরাজিত হতে হয়েছে সিপিএমের কাছে। কেন এমন ফল? ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই এ জাতীয় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শনিবার ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, কলকাতা পুরসভার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৯১৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম। শুধু তাই নয়, পাশের ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী এগিয়েছিলেন ২২৪ ভোটে। অথচ বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত এই দু'টি ওয়ার্ডেই গত বছর ডিসেম্বর মাসের পুরভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের শাম্মি জাহান ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন নিবেদিতা শর্মা। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে এমন উলটপুরাণের ঘটনায় চিন্তায় দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

যদিও, এমন ফলাফল প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, ওই দু'টি ওয়ার্ড সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। আর এই সময়ে রমজান মাস চলছে। সঙ্গে গরমের কারণে কাহিল সেই সব মানুষজন ভোট দিতে যাননি। তাই ওই দুই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়েছিলেন। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে দেখতে চাইছেন। দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘ওই দু'টি ওয়ার্ডে খারাপ ফল হল কেন, সে বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে পর্যালোচনা করেছি। আরও পর্যালোচনার অবকাশ রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই দু'টি ওয়ার্ডে আমাদের সংখ্যালঘু কর্মীরা রয়েছেন। এখন রমজান মাস চলছে। তাই এখনই সেই পর্যালোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ইদের পরেই আমরা ওই ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করে প্রকৃত কারণ জানতে চাইব।’’

প্রসঙ্গত, রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ভোটব্যাঙ্ক এখন তৃণমূলের দখলে। সেই ভোটের উপর ভর করেই তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জোড়া ওয়ার্ডে কেন তৃণমূলকে ফেলে এগিয়ে গেল সিপিএম? এমন হার থেকে দ্রুত শিক্ষা নিতে চাইছে বাংলার শাসকদল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement