Ballygunj

Ballygunge Assembly By-Election 2022: বুদ্ধদেবের ওয়ার্ড-সহ দু’টিতে জয়ী সায়রা, বালিগঞ্জে বাকি পাঁচ ওয়ার্ডেই বামেরা দ্বিতীয়

পুরসভার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৯১৮ ভোটে এগিয়েছিলেন সায়রা হালিম। শুধু তাই নয়, পাশের ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী এগিয়েছিলেন ২২৪ ভোটে।

Advertisement

অমিত রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২ ১৭:০৬
Share:

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সায়রা হালিম ফাইল চিত্র

বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে জয় পেল সিপিএম। শনিবার ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, কলকাতা পুরসভার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৯১৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম। শুধু তাই নয়, পাশের ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী এগিয়েছিলেন ২২৪ ভোটে। বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছেন তাঁরা। কলকাতা পুরসভার সাতটি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি বালিগঞ্জ বিধানসভা। ৬০, ৬১, ৬৪, ৬৫, ৬৮, ৬৯ ও ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা। ৬০,৬১,৬৪ ও ৬৫ ওয়ার্ডে আধিক্য সংখ্যালঘু ভোটারদের। আর সেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওয়ার্ডের দু'টি নিজেদের দখলে নিয়েছেন বামেরা। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি দাবি করছে, ভোটদাতারা তৃণমূল সরকারের ভ্রান্ত সংখ্যালঘু নীতির কথা বুঝতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি বগটুই-কাণ্ড তাঁদের চোখ খুলে দিয়েছে। এ বারের ভোটে বালিগঞ্জে শুধু দু’টি ওয়ার্ডে জেতাই নয়, অন্য দু’টি সংখ্যালঘু ওয়ার্ডেও ভাল ভোট পেয়েছে তারা। তথ্য দিয়ে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম ৮,৪৭৪ ভোট পেয়েছিল। ডিসেম্বরের পুরভোটে সেই সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১,২৪২-এ। আর বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে সেই ভোট বেড়ে হল ৩০,৮১৮।

Advertisement

সিপিএমের দাবি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচণ্ড গরমে বালিগঞ্জে সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে যাননি। কারণ এই সময় রমজান মাস চলছে। তাই সংখ্যালঘু ভোটাররা হয়তো ভোট দিতে সে ভাবে আগ্রহ দেখাননি।’’ সঙ্গে তাঁর আরও যুক্তি, ‘‘আসানসোলের ফলাফলে দেখা গেছে সেখানকার সংখ্যালঘু ভোটাররা ঢেলে ভোট দিয়েছেন আমাদের। তাই বালিগঞ্জের ফলাফল দেখে সংখ্যালঘুদের বিশ্লেষণ করা উচিত নয়।’’ প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসে কলকাতা পুরসভার ভোটে ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কয়েক মাসের ব্যবধানে এমন ফল নিয়ে নিজেদের পক্ষে ভাল ইঙ্গিত দেখছে সিপিএম। তবে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মাখনলাল দাস বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে যেমন আমরা পিছিয়ে গিয়েছি। তেমনই ৬০ ও ৬১ অম্বর ওয়ার্ডে আমরা ভালভাবে এগিয়ে গিয়েছি। ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি, ৪৫০০-র অধিক। তাই সংখ্যালঘুরা আমাদের দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন, এ কথা বলা যাবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement