খুন তৃণমূল কর্মী, ধৃত দলেরই নেতা

এলোপাথাড়ি গুলি, বোমা, ইটের টুকরো কিছুই বাদ দেয়নি আক্রমণকারীরা। তার জেরে, অশোকনগরে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হয়েছেন রফিক মণ্ডল (৩৫) নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অশোকনগর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২৭
Share:

এলোপাথাড়ি গুলি, বোমা, ইটের টুকরো কিছুই বাদ দেয়নি আক্রমণকারীরা। তার জেরে, অশোকনগরে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হয়েছেন রফিক মণ্ডল (৩৫) নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী। গুলি এবং ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হয়েছেন রফিকের স্ত্রী-সহ তাঁর পরিবারের অন্তত পাঁচ জন। তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের লাগোয়া নাদুড়িয়া গ্রামের ওই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে শাসক দলেরই সংখ্যালঘু সেলের নেতা গয়সউদ্দিন-সহ ১০ জনকে। সোমবার ধৃতদের বারাসত জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের দশ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, ধৃতদের জেরা করে খুনের কারণ সম্পর্কে ‘কিছু তথ্য’ মিলেছে। রফিকের পরিবারের তরফে খুনের পিছনে সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত মুজিবর রহমানের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। রফিকের দাদা নজরুলের অভিযোগ, ‘‘সামনেই পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে উপ-নির্বাচন। সিপিএম ওই আসনে জয় পেতে মরিয়া। ভাইকে সরিয়ে দেওয়া হল সেই কারণেই।’’ কিন্তু গয়সকে গ্রেফতার করা হল কেন? নজরুলের দাবি, ‘‘গয়স তো সিপিএমেরই লোক।’’ অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, ‘‘শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই যুবক খুন হয়েছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement