ওজন ঝরাতে গ্রিন টি খেতে হবে নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো, কালিপুজো কাটলেও উৎসবের মেজাজে ভাটা পড়েনি এখনও। গোটা ডিসেম্বর মাসে ক্রিস্টমাস, বড়দিন এখনও বাকি। তবে এ বার একটু অনিয়মকে সরিয়ে নিয়মে ফিরতে হবে। নইলে এই কয়েক দিনের বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া, রাত জাগার ধকল ছাপ ফেলবে শরীরেও। এখনও যদি বাড়তি মেদ ঝরানোর প্রতি যত্নবান না হন, তা হলে কিন্তু মুশকিলে পড়বেন আপনিই। তবে প্রথম থেকেই কি আবার আগের রুটিনে ফিরে যেতে হবে? মানে, সেই নিয়ম মেনে জিম বা শরীরচর্চা, ডায়েটের খাবারদাবার, কায়িক পরিশ্রম? হ্যাঁ, শরীর সুস্থ রাখতে ফিরতেই হবে এ সব নিয়মানুবর্তিতায়। প্রথমেই নজর দিন সকালের চায়ের দিকে। মেদ ঝরানোর প্রাথমিক পদক্ষেপটা সকালের চা থেকেই শুরু করতে পারেন। কিন্তু কী ভাবে?
১) ওজন ঝরাতে চাইলে কেবল দুধ চায়ের বদলে লাল চা কিংবা ভেষজ চায়ে চুমুক দিলেই হবে না। চা খাওয়ার ক্ষেত্রেও মানতে হবে নিয়মবিধি। সাধারণ চা বাদ দিন। বরং গ্রিন টি খান। এটি মেদ ঝরাতে এমনিই সাহায্য করে। এর মধ্যে দারচিনির গুঁড়ো দিন। মেদ ঝরাতে গ্রিন টি আর দারচিনির গুঁড়োর চেয়ে ভাল জুটি আর নেই। গ্রিন টি-তে মেশান কয়েক ফোঁটা পুদিনা পাতার রস। যাঁরা গ্রিন টি পছন্দ করেন না, ওজন কমাতে এই পুদিনা পাতার রস যোগ করতে পারেন সাধারণ কালো চায়েও।
২) গ্রিন টি-র সঙ্গে মিশিয়ে নিন লেবুর রস ও আদা। দিনে বার তিনেক এই চা পান করুন। দুধ চা-কে বিদায় দিন। চেষ্টা করুন উপরের সব ক’টা পদ্ধতিই চিনি ছাড়া কালো চা বা গ্রিন টি-তে প্রয়োগ করতে। সুতরাং সকালের চায়ের অভ্যাসে একটু পরিবর্তন এনেই পুজোর পর শরীরের মেদ ঝরানোর প্রাথমিক ধাপটুকু শুরু করুন।
৩) অনেকে গ্রিন টি খেলেও সঙ্গে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত বিস্কুট কিংবা নোনতা খাবার খান। এই ভুলেই কিন্তু ওজন অনেকখানি বেড়ে যায়। র বদলে সকালে স্বাস্থ্যকর জলখাবারের সঙ্গে গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।
৪) সকালে উঠেই খালি পেটে গ্রিন টি-তে চুমুক না দেওয়াই ভাল। খালি পেটে চা খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খালি পেটে চা না খেয়ে হালকা কিছু খেয়ে তার পরেই চা খাওয়া ভাল।
৫) রাতে ঘুমোনোর বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে চা খাওয়া বন্ধ করতে হবে। চেষ্টা করুন সন্ধের পর আর চা না খাওয়াই ভাল। রাতের দিকে চা খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ঘুম কম হলেই হজমের সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। তাই রোগা হতে চাইলে সন্ধের আগেই চা খাওয়া সেরে ফেলুন।