Lottery Fraud Case

নোটের ‘পাহাড়’ দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে! কত কোটি টাকা? গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে যন্ত্র আনাল ইডি

বৃহস্পতিবারও কলকাতার লেক মার্কেট এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকেরা। অভিযোগ উঠেছে, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১১
Share:

লেক মার্কেটের এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে ইডির তল্লাশি চলছে। নিজস্ব চিত্র।

লটারি প্রতারণা মামলায় শুক্রবারেও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সকাল থেকেই তদন্তকারীদের কয়েকটি দল কলকাতার লেক মার্কেট এবং আরও একটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ইডি সূত্রের খবর, লেক মার্কেটের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের একটি বহুতল আবাসনে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। নিয়ে আসা হয়েছে টাকা গোনার যন্ত্রও।

Advertisement

শহরের মধ্যে আরও একটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডির আর একটি দল। সূত্রের খবর, সেখানেও টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার লেক মার্কেট এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকেরা। অভিযোগ উঠেছিল, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে। আর এই প্রতারণার ঘটনায় প্রভাবশালী যোগেরও তত্ত্ব উঠে এসেছে। সেই মামলারই তদন্তে দিল্লি থেকে আসে ইডির বিশেষ দল। তারা লেক মার্কেট এবং বিমানবন্দর সংলগ্ন মাইকেল নগরে তল্লাশি অভিযানে যায়।

মাইকেল নগরে লটারির ছাপাখানা এবং গুদাম রয়েছে। সেখানেই তল্লাশি চালানো হয়। অন্য দিকে, লেক মার্কেটের এক আবাসনেও তল্লাশি চালায়। শুক্রবারেও ওই আবাসনে তল্লাশি চালানোর সময় কয়েক কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

Advertisement

এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে লটারির বেআইনি টাকার যোগসূত্র খুঁজতে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে একটি লটারি সংস্থার ছাপাখানা এবং গুদামে তল্লাশি অভিযান চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। সেই সময়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, প্রকৃত পুরস্কারপ্রাপকদের বঞ্চিত করে ওই সংস্থা পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ ওঠে। তার পরই এই তল্লাশি অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, লটারি ব্যবসায়ী সান্তিয়াগো মার্টিন দেশজোড়া তোলপাড় ফেলে দেন এই ২০২৪ সালে, যখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের তথ্যে দেখা যায়, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি চাঁদা দিয়েছিল তাঁরই সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং’। বন্ডের মাধ্যমে মোট ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি চাঁদা দেওয়া সেই মার্টিনের সংস্থা ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের অন্তত ২০টি ঠিকানায় একযোগে তল্লাশি চালায় ইডি। এর মধ্যে রয়েছে সল্টলেকের মহিষবাথান ও উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগর-সহ কলকাতার আশেপাশের চারটি ঠিকানাও।

৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি লটারি-দুর্নীতির তদন্তে এই তল্লাশি হয়েছে মার্টিন, তাঁর জামাই আধভ অর্জুন এবং তাঁদের সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কিত ঠিকানাগুলিতে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তামিলনাড়ুর চেন্নাই ও কোয়েম্বত্তূর, হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং পঞ্জাবের লুধিয়ানায় ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement