আগরতলায় তৃণমূলের কার্যালয়ে যুব সংগঠনের সাংবাদিক সম্মেলন। নিজস্ব চিত্র।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার ত্রিপুরায় দলের যুব সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করল সর্বভারতীয় তৃণমূল। শনিবার আগরতলার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। যুব কমিটি ঘোষণা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু সাহা, ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি নীলকমল সাহা, উত্তম কলুই এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, শান্তনুকেই যুব সংগঠনের সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হয়েছে।
শান্তনু বলেছেন, ‘‘রাজ্য যুব কমিটির ঘোষণার পাশাপাশি কিছু জেলার যুব সভাপতিদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে পাঁচ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ছ'জন, সম্পাদক পদে ১২ জন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ন'জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস, যাঁরা নতুন প্রদেশ কমিটিতে আসছেন ও জেলা সভাপতি হচ্ছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এই রাজ্যের বঞ্চিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। আমরা এই রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় যে কোনও প্রকারে যুবকদের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যুব তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে।’’
ত্রিপুরা তণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগেই দলের সর্বস্তরের সংগঠন তৈরি করে ফেলতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ও মমতাদি সম্প্রতি যুব কমিটিতে সিলমোহর দেওয়ায় তা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও বেশ কিছু কমিটি ঘোষিত হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমাদের পাখির চোখ, বিকল্প শক্তি হিসেবে ত্রিপুরার রাজনীতিতে উঠে আসা। সংগঠন মজবুত হলেই তা সম্ভব হবে। তাই এ ভাবে ধাপে ধাপে সংগঠন তৈরির কাজ হবে।’’ প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে ত্রিপুরায় আয়োজিত চার বিধানসভার উপনির্বাচনে শোচনীয় ফল হয়েছে তৃণমূলের। সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েই নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতে চাইছেন অভিষেক।