Partha Chatterjee

Partha Chatterjee: মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আর পার্থ নয়, বসতে পারেন ফিরহাদ, বিধানসভায় হচ্ছে আসন বদল

দীর্ঘ ১১ বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসনটি বরাদ্দ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। কিন্তু এ বার ওই আসনে বসতে পারেন ফিরহাদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২২ ১১:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসন থেকে সরানো হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি বিধানসভা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। অধিবেশন কক্ষে ট্রেজারি বেঞ্চে মন্ত্রীরা যেখানে বসেন, সেখান থেকেও সরানো হচ্ছে তাঁর আসন। তৃণমূল বিধায়করা যেখানে বসেন, সেখানেই কোনও একটি আসন বরাদ্দ হবে তাঁর জন্য। গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করে তাতে রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দফতর রদবদলের পর পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে ধারে-ভারে যাঁদের গুরুত্ব বেড়েছে, তাঁদের ট্রেজারি বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর ব্লকে আসন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নতুন মন্ত্রীদের ঠাঁই হবে তার পাশের ব্লকে। পার্থর মতো সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া তিন মন্ত্রীর জন্য তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যেই আসন ঠিক করা হবে। পার্থ ছাড়াও যাদের আসন বদল করা হচ্ছে তাঁরা হলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী, ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র ও পাণ্ডয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগ।

Advertisement

২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি বরাদ্দ ছিল পার্থের জন্য। দীর্ঘ ১১ বছর তিনি ওই আসনে বসেছেন। এ বার তাঁকে সরানো হচ্ছে সেই স্থান থেকে। বিধানসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সঙ্গে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্বেও ছিলেন পার্থ। তাই কাজের সুবিধার জন্যই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখন তিনি যখন মন্ত্রিসভাতেই নেই, তাই তাঁর আর মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনে বসার যৌক্তিকতাও নেই। তাই তাঁর বদলে গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর। বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি পেতে পারেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে এখনই এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে নারাজ বিধানসভার আধিকারিকরা। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ আগামী সপ্তাহেই কার্যকর করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি ছাড়াও, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বসার ঘরের পাশের ঘরটি বরাদ্দ ছিল পার্থর জন্য। স্পিকারের নির্দেশে সেই ঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে তদন্ত যত দিন শেষ না হচ্ছে, তত দিন ওই ঘরটি বন্ধ রাখা হবে। ঘরটি বন্ধ করার পাশাপাশি পার্থর নামের নেমপ্লেটটিও খুলে দেওয়া হয়েছে। পার্থ বিধানসভায় আবার কবে আসবেন, তা জানা নেই কারও। কিন্তু, ১৭তম বিধানসভার অধিবেশনে অংশ নিতে এলে তাঁকে বসতে হবে সাধারণ বিধায়কদের সঙ্গেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement