আইপ্যাকের প্রস্তাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেনে নিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ফাইল চিত্র
কলকাতা পুরভোটে এ বার আর বয়স্ক এবং অসুস্থ কাউন্সিলরদের প্রার্থী করতে চায় না তৃণমূল নেতৃত্ব। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে যে কোনও দিন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে অনেকটাই এগিয়ে বাংলার শাসক দল। সৌজন্যে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। সূত্রের খবর, এ বারের পুরভোটে বয়স্ক ও অসুস্থদের টিকিট না দেওয়ার সুপারিশ করেছে পিকে-র সংস্থা। তুলনায় বয়স কম, কর্মঠ কোনও রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে টিকিট দিয়ে পুরভোটের রণাঙ্গনে নামানোর সুপারিশ করেছে তারা। বয়স্ক এবং অসুস্থ কাউন্সিলরদের তুলনায় নতুন প্রার্থী অনেক বেশি স্থানীয় মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন বলেই ওই প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আইপ্যাকের প্রস্তাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেনে নিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনিতেই কলকাতার চারটি ওয়ার্ডে কো-অডিনেটরদের প্রয়াণে নতুন প্রার্থীদের টিকিট দেবে দল। প্রয়াত হয়েছেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপরাজিতা দাশগুপ্ত, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুখদেব চক্রবর্তী, ১২১ কাউন্সিলর মানিক চট্টোপাধ্যায় ও ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁদের প্রয়াণের আগেই দল ঠিক করেছিল, বয়স্ক এবং অসুস্থ হওয়ার কারণে ওই কাউন্সিলরদের আর টিকিট দেবে না দল। এ বার আরও কিছু কাউন্সিলর বা কো-অডিনেটরের নাম বাদের তালিকায় সংযোজিত হতে চলেছে। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রয়েছেন, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সত্যেন দে, ৫৫ ওয়ার্ডের অরুণ দে, ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল আহমেদ, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজনলাল মুখোপাধ্যায়, ৭৯ ওয়ার্ডের রাম পেয়ারে রাম, ৮৩ ওয়ার্ডের মঞ্জুশ্রী মজুমদার, ৮৯ ওয়ার্ডের মমতা মজুমদার, ১০০ ওয়ার্ডের সুস্মিতা দাম এবং ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিপ্রা ঘটক।
আপাতত, এই ওয়ার্ড কডিনেটরদের আর প্রার্থী না করার সুপারিশ করা হয়েছে। সঙ্গে আরও বেশ কিছু ওয়ার্ডের কথাও প্রস্তাব করেছে আইপ্যাক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই প্রস্তাব মানা হবে বলেই সূত্রের খবর। তাই এ বছর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় দেখা যেতে একঝাঁক নতুন মুখ। আইপ্যাকের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অভিজ্ঞতার তুলনায় কলকাতায় পুর পরিষেবা দিতে তারুণ্যের উপরেই ভরসা রাখুক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।