Jammu and Kashmir

কাশ্মীরে নিহত হিজ়বুলের শীর্ষ কমান্ডার! উপত্যকায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিকে হত্যা নিরাপত্তা বাহিনীর

বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গিদমন অভিযান চালান নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা। ওই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে হিজ়বুলের শীর্ষ কমান্ডার এবং আরও চার কাশ্মীরি জঙ্গির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০১
Share:

(বাঁ দিকে) নিহত হিজ়বুল কমান্ডার ফারুক ভাট এবং কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পাঁচ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই জঙ্গিদমন অভিযানে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন হিজ়বুল-মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার ফারুক ভাট ওরফে নলি। জম্মু ও কাশ্মীরে ‘মোস্ট ওয়ান্টে়ড’ তালিকায় ছিলেন এই জঙ্গি নেতা। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, ফারুক কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকা হিজ়বুল জঙ্গি। কুলগামের অভিযানে বৃহস্পতিবার ফারুক-সহ আরও চার কাশ্মীরি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পর্যালোচনা বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের থাকার কথা। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে শাহের বৈঠকের দিনেই জঙ্গিদমন অভিযানে হিজ়বুলের শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু হল। সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গিদের পর পর হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা হয়েছে, কখনও আবার নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। রেহাই পাননি ভিন্‌ রাজ্য থেকে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকেরাও।

কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, উপত্যকায় প্রচুর জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ফারুকের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের উপরেও হামলার অভিযোগ রয়েছে এই জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে। সেদিক থেকে ফারুকের মৃত্যু জঙ্গিদমন অভিযানে একটি বড় সাফল্য বলেই দাবি করছে কাশ্মীর পুলিশ।

Advertisement

জঙ্গিগোষ্ঠী হিজ়বুলের নেতা ফারুক কুলগামেরই বাসিন্দা। ২০৫ সাল থেকে সক্রিয় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ২০২১ সালে কাশ্মীরের প্রথম দশ ‘মোস্ট ওয়ান্টে়ড’ জঙ্গির তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে। তালিকায় থাকা বাকি জঙ্গিদের আগেই মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে। তবে ফারুক অনেক দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন।

এরই মধ্যে গোপন সূত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খবর আসে, কুলগাম জেলার কাদ্দের এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে বেশ কয়েক জন জঙ্গি। তার পরেই সতর্ক হয়ে যায় নিরাপত্তাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযানে নামেন সেনাবাহিনীর সদস্যেরা। যৌথ বাহিনী কাদ্দের এলাকায় অভিযান শুরু করার পরেই উল্টো দিক থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। প্রত্যাঘাত করে যৌথ বাহিনীও। শেষমেশ গুলির লড়াইয়ে হার মানে জঙ্গিরা। নিহত হন ফারুক-সহ পাঁচ জঙ্গি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement