মারিয়া অসুনতা তিরকি জানিয়েছেন, ২০১২ সালে হিন্দি ভাষার সরকারি শিক্ষকের এসএসসি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি স্কুলে সহকারী শিক্ষিকার চাকরির পরীক্ষায় উতরোনোর পর ইন্টারভিউতে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেলেও চাকরি পাননি। উল্টে ওই ইন্টারভিউতে নম্বরের গরমিল করে তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া এক প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শনিবার শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি কলেজের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখানেই তাঁর কাছে এই অভিযোগ করেছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষায় সফল এক আদিবাসী তরুণী।
বাগডোগরা সুকান্ত পল্লির বাসিন্দা মারিয়া অসুনতা তিরকি নামে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে হিন্দি ভাষার সরকারি শিক্ষকের এসএসসি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। তাতে পাশ করার পর ওই পদের জন্য দার্জিলিঙের গয়াগঙ্গা এলাকায় সেন্ট পিটার্স উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছিল। মারিয়ার দাবি, ওই ইন্টারভিউতে শীর্ষ স্থানাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। বরং নম্বরের গরমিল ঘটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এক প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করলেও সুরাহা হয়নি। সে মামলা এখনও চলছে। মারিয়ার কথায়, ‘‘২০১২ সালে আমি হিন্দি ভাষার অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচারের ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। প্যানেলে আমার নাম এক নম্বরে ছিল। তবে প্যানেলে আমার পরে যাঁরা নাম ছিল, তাঁর চাকরি হয়েছে। এ নিয়ে তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলাম। তাতে দেখা গিয়েছে, ওখানকার হেডমাস্টার নম্বর কেটেকুটে দিয়েছেন। তার পরে হাই কোর্টে মামলাও করেছি। সে মামলা আজও চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত সুবিচার পাইনি।’’
শনিবার শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি আইন কলেজের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমস্ত বিষয়টি লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান মারিয়া। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মারিয়াকে জানিয়েছেন, তিনি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় বিচারপতি হিসাবে রয়েছেন। যদিও মারিয়াকে আশ্বাস দিয়ে বিচারপতি বলেছেন, তিনি যেন মামলা চালিয়ে যান। এবং তাতে সুবিচার পাবেন।