টেট নিয়ে আবারও সরব শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) নিয়ে আবারও আঙুল তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিজেপির ‘অধিকার সভা’য় তিনি অভিযোগ করলেন, ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হচ্ছে রবিবারের টেটের প্রশ্ন। আগাম দিতে হচ্ছে পাঁচ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি এ-ও হুঁশিয়ারি দিলেন যে, মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) রাজ্য সরকারকে দিতেই হবে। নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘যে দিন ডিএ দিতে হবে, সে দিন নবান্নের ১৪ তলা থেকে পালাতে হবে।’’
শনিবার চুঁচুড়ার সভায় শুভেন্দু ফের টেট নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করেন। এ-ও জানান, রেলের মতো সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হলে বিজেপি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলত না। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের আশঙ্কা রয়েছে, বহু জায়গা থেকে ফোন আসছে যে, প্রশ্ন বলে দেওয়া হবে। ১০ লক্ষ টাকার চুক্তি। পাঁচ লক্ষ টাকা আগাম দিলে প্রশ্ন শনিবারই বলে দেওয়া হবে। পরে বাকি পাঁচ লক্ষ টাকা মেটাতে হবে।’’
এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গলের রাজত্ব চলছে, হামলা করা ছাড়া সন্ত্রাস করা ছাড়া ওদের আর কিছু করার নেই। সর্বভারতীয় দলের রাজ্য সভাপতি শুধু নন, তিনি এক জন সাংসদও। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তাঁর গাড়িতে হামলার ঘটনা প্রমাণ করে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা আসলে ভাইপো এবং পিসি পরিচালিত। শওকত মোল্লা, জাহাঙ্গির খানের মতো গুন্ডাদের হাতে সেই জেলা চলে গিয়েছে।’’
এর পরেই তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রতিবাদে পথে নামবেন বিজেপিকর্মীরা। তাঁর কথায়, ‘‘অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করব। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করবেন।’’
শনিবার ডিএ নিয়েও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন, যে দিন রায় বার হবে, ডিএ দিতে হবে, সে দিন ১৪ তলা থেকে পালাবেন। ২৩ হাজার কোটি টাকা কোথা থেকে দেবে?’’ তৃণমূল সরকারের আমলে যে রাজ্যের ঋণের বোঝা বেড়েছে, সে কথাও জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দু’লক্ষ কোটি টাকা দেনা সিপিএমের সময়। আমরাই মিছিল করে বলতাম। আর উনি এখন নিজেই ছয় লক্ষ কোটি টাকার দেনা করেছেন।’’
রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই বলেও দাবি শুভেন্দুর। তাঁর খোঁচা, এ রাজ্যে কাজ নেই বলে মিজোরামের মতো পাহাড়ি রাজ্যে যেতে হচ্ছে মানুষজনকে। তাঁর কথায়, ‘‘বাম আমলে ছিল ৫ লক্ষ ২০ হাজার জন পরিযায়ী শ্রমিক। এখন সেই সংখ্যা হয়েছে ৪৫ লক্ষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৯ গুণ বাড়িয়েছেন।’’