রাজভবনে ‘আদিবাসী অধিকার মহাসভা’র প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র।
কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের নামে জনজাতিদের উচ্ছেদ করার প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল ‘আদিবাসী অধিকার মহাসভা’। বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামি, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণশিঙার জনজাতি বাসিন্দাদের নিয়ে মহাসভার ডাকে ‘রাজভবন চলো’ অভিযান শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল। সিউড়ি, বোলপুর, বর্ধমান, অশোকনগর হয়ে শুক্রবার পদযাত্রা হয়েছে কলকাতায় রাজাবাজার থেকে ময়দানে বি আর অম্বেডকর মূর্তি পর্যন্ত। মিছিলে ছিলেন আইএসএফের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী, নাগরিকপঞ্জি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চের প্রসেনজিৎ বসু, ‘স্বরাজ ইন্ডিয়া’র অভীক সাহা প্রমুখ। অম্বেডকর জয়ন্তীতে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানানোর পরে মহাসভার প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন রাজভবনে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস অবশ্য তখন ছিলেন না। মহাসভা নেতৃত্বের দাবি, রাজভবনের এক ডেপুটি সচিব আশ্বাস দিয়েছেন, দাবিপত্র দেখে রাজ্যপাল পরে এক দিন তাঁদের সময় দেবেন। মহাসভার তরফে জগন্নাথ টুডুর বক্তব্য, বীরভূমে বেআইনি পাথর ক্রাশার বন্ধ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পঞ্চম তফসিলভুক্ত এলাকার মতো রাজ্যে জনজাতি এলাকার গ্রামসভাকে আইনি ক্ষমতা দেওয়ার দাবিও রাজভবনের কাছে জানানো হয়েছে, যাতে গ্রামসভার অনুমোদন ছাড়া ওই সব অঞ্চলে কোনও প্রকল্প চালানো বা জমি নেওয়া না যায়।