—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যের সর্বত্র চলাচল করা স্কুল বাস ও পুলকারে এক জন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট রাখা বাধ্যতামূলক করছে পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি পরিবহণ দফতর এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বৈঠক করেছে। যেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বাস ও পুলকারে এক জন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হবে। এ ক্ষেত্রে মহিলা অ্যাটেন্ড্যান্ট রাখা যায় কি না, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কলকাতা পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে শামিল হয়েছিলেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক, কলকাতা পুলিশ, বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের প্রতিনিধি ও পুলকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানেই পরিবহণ দফতরের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভরসা স্কুল বাস ও পুলকার। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের গতিবিধি জানতে ওই গাড়িগুলিতে ‘ভেহিকলস লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ (ভিএলটিডি) লাগানো হয়েছে। কিন্তু পরিবহণ দফতর মনে করছে, ছোট ছোট ছেলেমেয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে ভিএলটিডি লাগানো যথেষ্ট নয়। তাই স্কুল বা ও পুলকারে এক জন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট রাখা বাধ্যতামূলক করা উচিত।
এ ছাড়াও স্কুল বাস ও পুলকার তৈরি নিয়েও বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাস বা পুলকারে ছাত্রছাত্রীদের ওঠানামার জন্য নির্দিষ্ট মাপের সিঁড়ি রাখার কথা হবে। এ ছাড়াও গাড়ির কাচ কেমন হবে, তা-ও পরিবহণ দফতর ঠিক করে দেবে বলেই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, চালক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাস বা পুলকার মালিকদের আরও বেশি সচেতন হতে বলা হয়েছে পরিবহণ সচিবের তরফে। কোনও ক্ষেত্রে স্কুলের নিজস্ব বাস থাকলে, তাতে চালক নিয়োগের আগে তাঁদের যাবতীয় তথ্য তুলে দিতে হবে কলকাতা পুলিশের হাতে।
পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে আমরা জানি। নির্দেশিকা জারি হলে আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করব। এই ধরনের কোনও নিয়োগ হলে তা আমাদের পক্ষেই সুবিধাজনক। তবে পুরো বিষয় না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।’’