বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
বিশবাঁও জলে পড়ল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে কোভিড-১৯ পরীক্ষা শুরুর চেষ্টা। একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন। মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় ফেরার সময়ে। ফলে, আপাতত বাঁকুড়ায় চালু করা গেল না টেস্টিং ল্যাব।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জিৎ পাত্রকে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল মেদিনীপুরে। আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত করার জন্য যে প্রশিক্ষণ দরকার, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেই প্রশিক্ষণ কারও ছিল না। তাই সঞ্জিৎ পাত্রকে মেদিনীপুরে ডেকে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বাঁকুড়ায় ফিরে অন্য কয়েক জনকে প্রশিক্ষণ দেবেন, এমনই ঠিক হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু অক্ষত অবস্থায় বাঁকুড়ায় ফিরতে পারলেন না ওই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: মা হলেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা, মেয়ের ডাকনাম করোনা
আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরার পথে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত ১৬ পরিযায়ী শ্রমিক
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইক নিয়ে বাঁকুড়া থেকে মেদিনীপুর গিয়েছিলেন সঞ্জিৎ পাত্র। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ফেরার সময়ে তিনি দুর্ঘটনায় পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেই নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে, সঞ্জিৎ পাত্রর একটি পায়ের হাড় (ফিমার) ভেঙে গিয়েছে দুর্ঘটনায়। এমন ভাবেই ভেঙেছে যে, অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। ফলে তাঁর সুস্থ হয়ে উঠতে এখন বেশ কিছুটা সময় লাগবে। অতএব বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আপাতত চালু করা যাচ্ছে না করোনার পরীক্ষা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই চিকিৎসকের সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে অনেক দেরি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই অন্য কোনও চিকিৎসককে করোনা টেস্টিং-এর প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় কি না, সে কথা ভাবা হচ্ছে। তবে কাকে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হবে, কবে সে প্রশিক্ষণ হবে, তার পরে কবে থেকে টেস্টিং শুরু করা যাবে বাঁকুড়া, তা এখনও স্পষ্ট নয়।