লাচুংয়ে তুষারপাত। —নিজস্ব চিত্র
পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে তুষারপাত দেখার ইচ্ছাপূর্ণ হল পর্যটকদের। বুধ-সকালে তুষারপাত দেখতে পেলেন উত্তর সিকিমের লাচুংয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
করোনার কারণে বন্ধ দার্জিলিঙের দরজা। তবে খোলা রয়েছে সিকিম। ৫০ শতাংশ পর্যটক নিয়ে এবং করোনা বিধি মেনে পর্যটন শিল্প খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিবেশী রাজ্যটি। সেই কারণে পর্যটনের এই ভরা মরসুমে উত্তর সিকিম হয়ে উঠেছে পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। বুধবার সকাল থেকেই উত্তর সিকিমের লাচুংয়ে তুষারপাত শুরু হয়। বরফে ঢেকে যায় রাস্তা। এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুশি পর্যটকরা। সকলেই প্রাণভরে উপভোগ করছেন প্রকৃতির সেই শোভা।
তবে হাত কামড়াচ্ছেন দার্জিলিং, ডুয়ার্স-সহ আশপাশের এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলি এখনও বন্ধ। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই চাইছেন করোনা বিধি মেনে দ্রুত খুলে ওই সব এলাকাগুলি। এ বিষয়ে ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর কর্ণধার সম্রাট সান্যাল বলেন,‘‘রাজ্যেও পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া উচিত। ৫০ শতাংশ পর্যটক এবং করোনা বিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্রগুলি চলতে পারে। না হলে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। ভরা মরসুমে পর্যটকরা এখানকার বুকিং বাতিল করে সিকিমে চলে যাচ্ছেন।’’