বেলপাহাড়িতে তৃণমূলের সভায় কুণাল ঘোষ।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূল। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার কালীঘাট-নবান্ন ই-স্কুটারে যাতায়াত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদের সেই সুর জিইয়ে রেখেই জঙ্গলমহল থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুরজিৎ হাঁসদা। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি-র ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’ স্লোগানকে কটাক্ষ করেন কুণাল। তাঁর আক্রমণের জবাব দিয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যহ্রাসের দাবি নিয়ে রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন লকেট। তাঁর মতে, পেট্রোলে পুরো কর মুকুব করুক রাজ্য।
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি এবং সাঁকরাইলে জোড়া সভা করে তৃণমূল। সেখান থেকে সুরজিৎ বলেন, ‘‘দিনের পর দিন পেট্রো পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। রান্নার গ্যাসের দাম আবার ২৫ টাকা বেড়েছে। ওরা আবার বলছে কেন্দ্র ও রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন দরকার। যারা মানুষকে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে তাদের মুখে ওসব কথা মানায় না। ওই সবের বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ কুণালের মত, ‘‘জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামফ্রন্টের অরাজকতার কারণে কিছু মানুষ বিপথে চলে গিয়েছিলেন। সেই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন মমতা। এখন পর্যটকরা আসছেন, আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে জঙ্গলমহলের।’’ আবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক দুলাল মুর্মুর কটাক্ষ, ‘‘সামনে গরম কাল আসছে। ওই গরমের মধ্যে বিজেপিকে নরম করে দিতে হবে।’’
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই ভিন্ন মত বিজেপির। লকেটের মত, ‘‘পৃথিবীব্যাপী দাম ওঠানামা করছে।’’দাম কমাতে তাঁর দাওয়াই, ‘‘পেট্রোলের দাম যদি ৩০ টাকা হয় তা হলে রাজ্য নিচ্ছে ৩০ টাকা কর আর কেন্দ্র নিচ্ছে ২৫ টাকা কর। তা হলে রাজ্য কর কমাক। কেউ জানে না পশ্চিমবঙ্গ বেশি কর নেয়। বাংলা যদি এত বড় বড় কথা বলে তা হলে পুরো কর মকুব করে দিক।’’