—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের জন্য ঘর গোছানোর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। সেই পর্যায়ে জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের রদবদল হয়েছে। এ বার সেই অধ্যায়েই উত্তরবঙ্গে বিজেপির জমি ছিনিয়ে নিতে দলের শ্রমিক সংগঠনকে ময়দানে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। সোমবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের চা বাগানে ১৪ দিনের জন্য বসবে বিশেষ ধরনের শিবির। সেই শিবিরগুলি মারফত চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করা হবে।
সোমবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) জানানো হয়েছে, ২৩ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শিবির করা হবে। যেখানে মূলত তিনটি কাজ হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রথমত, রাজ্য সরকারের লক্ষ্ণীর ভান্ডার-সহ যে সব জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, তা চা বাগানে কর্মরতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, আধার, ভোটার কার্ড ও স্বাস্থ্য বিমায় চা শ্রমিকদের নাম তালিকাভুক্ত করা। তৃতীয়ত, চা শ্রমিকদের কোনও কাজ আটকে থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমস্যার সমাধান করানো।
উত্তরবঙ্গের রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে, যে হেতু গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের জনতা বিজেপিকে ঝাঁপি উপুড় করে সমর্থন দিয়েছিল। আর তৃণমূলকে ফিরতে হয়েছিল শূন্য হাতে। তাই এ বার অনেক আগে থেকেই চা বাগানের ভোটারদের মন টানতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলার শাসকদল। তাই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের চা বাগানগুলিতে নিজের ভিত শক্ত করা যাতে গত লোকসভা ভোটে বিজেপি যে সমস্ত আসন জিতেছিল, তা নিজেদের দখলে আনা যায়। কারণ চা বাগানের আদিবাসী ভোট ধরে রাখতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করেছে বিজেপি। তাই পাল্টা কর্মসূচি দিয়েই বিজেপির যাবতীয় কৌশলের জবাব দিতে চাইছে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে মালদহ দক্ষিণ ছাড়া সব আসন জিতেছিল বিজেপি। সেই বড় সংখ্যক আসনে জিততে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিশ্চিত করতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই কর্মসূচির দায়িত্বে রাখা হয়েছে আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও শ্রমিক নেতা রবীন রাইকে।