রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার ইন্দাসের শাসপুরে মারা যান সামাদ মল্লিক (৪২) নামে এক তৃণমূল কর্মী। প্রতীকী ছবি।
সভা শুরুর আগে বাজ পড়ে মৃত দলীয় কর্মীকে সোমবার শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য প্রমুখ। তাঁর পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও করেছে তৃণমূল। রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার ইন্দাসের শাসপুরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যান সামাদ মল্লিক (৪২) নামে এক তৃণমূল কর্মী। তিনি ইন্দাসের বাথানিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। আহত হয়েছিলেন কমবেশি ৩১ জন।
সোমবার সকালে ইন্দাসের দলীয় কার্যালয়ে আনা হয় সামাদের দেহ। সেখানে শশী, দেবাংশুদের সঙ্গে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়, যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিরাও শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে তাঁরা যান সামাদের বাড়ি। সামাদ ছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সামাদের স্ত্রী টিয়া বেগম জানান, বিকেল তিনটে নাগাদ সভায় যান তাঁর স্বামী। তিনি বলেন, ‘‘স্বামী পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন। আমি দলের কাছে কাজের জন্য আবেদন করেছি। দল আর্থিক সাহায্য করেছে। মন্ত্রী শশী পাঁজা কাজের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
সামাদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পর শশী, দেবাংশুরা আহতদের দেখতে বর্ধমান মেডিক্যালে যান। শশী বলেন, ‘‘ওই কর্মী খুবই উৎসাহ নিয়ে দল করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের পক্ষে মৃতের পরিবারের হাতে তিন লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিডিও দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন। শেষকৃত্যের খরচ সমব্যথী প্রকল্প থেকে দেওয়া হয়েছে। ওঁনার ছেলের শিক্ষার যাবতীয় খরচ দল বহন করবে। টিয়া বেগমকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা সহায়ক হিসেবে দেখে নিয়ে নিয়োগ করব।’’ তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ৯ জন বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক জনপ্রিয় কর্মীকে হারালাম। ওঁর পরিবারের পাশে সারা জীবন থাকব। আমি নিজে এক লক্ষ টাকা দেব। ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের মিলিত সাহায্য কয়েক দিনের মধ্যেই পরিবারের হাতে তুলেদেওয়া হবে।’’