তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার সকাল হতেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। ত্রিপুরায় যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদের আঁচ পৌঁছল কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য দফতরে।
সোমবার সকালে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা সেখানে হাজির হয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ত্রিপুরায় বিজেপি-র তাণ্ডবের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, সায়নী ঘোষকে মিথ্যা মমলায় জড়ানো হয়েছে। বিপ্লব দেবের পুলিশ এবং বিজেপি-র গুন্ডাবাহিনী যে ভাবে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।
অন্য দিকে, ত্রিপুরার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বাঁকুড়ার মেজিয়ায় ২০ মিনিট জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল। তার পর পুলিশ এসে সেই অবরোধ তুলে দেয়। রবিবার খড়্গপুরেও যুব তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কুশপুতুলও পোড়ান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
রবিবার আগরতলায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। তৃণমূল নেতারা যখন থানায় ছিলেন সে সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।