অমিত শাহের অফিসের বাইরে বিক্ষোভরত তৃণমূলের সাংসদরা। ছবি—পিটিআই।
তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরায় আমাদের নেত্রীকে কী ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সাংসদের উপর যে ভাবে হামলা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা ওনার কথা হয়েছে। উনি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।’’
সকালেই দেখা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের থেকে সময় চেয়েছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু মেলেনি। বেলা গড়াতেই তৃণমূল সাংসদরা বিক্ষোভে বসেন শাহের অফিসের সামনে। বিকালে দেখা করার জন্য অমিত শাহ সময় দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লির বুকে উঠল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তুললেন তৃণমূলের সাংসদরা। ত্রিপুরায় হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে নর্থ ব্লকের অমিত শাহের অফিসের সামনে প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের সাংসদরা। তখনই তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময় জনপ্রিয় হওয়া এই স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে।
ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার কমিশনকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরায় বিরোধীদের উপর একের পর এক আক্রমণ হচ্ছে। মানবাধিকার কমিশন কোথায় গেল?’’ প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের পর একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেই প্রসঙ্গ তুলেই ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনকে কটাক্ষ করলেন মমতা।
ভোটের নামে ঘোট করে বিজেপি। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এই ভাষাতেই কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি ভোটের নামে ঘোট করে। ভয় পেয়েছে বলেই তো এ রকম করছে।’’ এর পরই পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন ত্রিপুরার। মমতা বলেছেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে তো ৩৬৫ দিন বিজেপি-র নেতারা আসত। আমরা কোনও দিন বাধা দিইনি। ওখানে কেন এ রকম হচ্ছে?’’
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ত্রিপুরায়। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবারই চার দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সেখানে পৌঁছে দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে ঠিক হতে পারে আন্দোলনের রূপরেখা।
সোমবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পৌঁছে বৈঠক করবেন তাঁর দলের সাংসদদের সঙ্গে। সেই বৈঠকেই ঠিক করা হবে, আগামী দিনে ত্রিপুরা নিয়ে আন্দোলন কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
সোমবার সকালেই সাক্ষাতের অনুমতি চেয়েছিলেন ডেরেক। কিন্তু অমিত শাহ তৃণমূল সাংসদদের দেখা করার সময় দেননি বলে জানা গিয়েছে। এর পর সাংসদরা অমিতের দফতরের বাইরে বসে পড়েছেন এবং বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
সোমবার সকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের থেকে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এখন নর্থ ব্লকে অমিত শাহের দফতরের দিকে যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই দলে রয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মালা রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতো সাংসদরা। অমিত শাহের দফতরের সামনে ধরনায় তৃণমূল।
ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার হবে সেই মামলার শুনানি।
ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে ধরনার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন তৃণমূলের ১৬ সাংসদ। ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সোমবার সকালেই দেখা করতে চান তৃণমূলের সাংসদরা। সে জন্য অমিত শাহকে ট্যাগ করে একটি টুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানে তিনি সোমবার সকালেই দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। সঙ্গে ত্রিপুরায় তৃণমূলের কর্মীদের উপর হামলার একটি ভিডিয়োও আপলোড করেছেন ওই টুইটে।
ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তৃণমূল সাংসদরা।
ত্রিপুরায় পরিস্থিতির প্রতিবাদে সোমবার দিল্লিতে ধরনায় বসবেন তৃণমূলের সাংসদরা।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের থানায় ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। নেতা কর্মীদের উপর ইটবৃষ্টি চলছে, পুলিশ নীরব দর্শক।