—প্রতীকী চিত্র।
সংরক্ষিত আসনে জাতিগত শংসাপত্র জাল করার অভিযোগে সদস্যপদ খোয়ালেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যা। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের বেওয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই সদস্যা রেখা খাতুনের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে মহকুমা শাসকের দফতর সূত্রে।
গত পঞ্চায়েত ভোটে ১৭ আসনবিশিষ্ট বেওয়া-২ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টি আসনে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থীরা। রেখাও জিতেছিলেন। ভোটের ফলপ্রকাশের কিছু দিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে জাতিগত শংসাপত্র জাল করে নির্বাচনে লড়ার অভিযোগ তোলেন সিপিএমের তিলডাঙা শাখা কমিটির সম্পাদক শাকির শেখ। কলকাতা হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে রেখাকে শোকজ় করা হয় প্রশাসনের তরফে। তদন্তও শুরু হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রেখার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে তদন্তে। তার পরেই তাঁর সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রেখার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা শাকির জানান, রেখা আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ৭-৮ বছর আগে তিলডাঙা গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। রেখার দু’টি জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে। একটি শংসাপত্রে তাঁর বাবার নাম রয়েছে গিয়াসউদ্দিন শেখ। আর অন্যটিতে ধর্মডাঙা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক গিয়াসউদ্দিন মোমিনকে তাঁর বাবা বলে দেখানো হয়েছে। শাকির বলেন, ‘‘আমি কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করার পর প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। এর পর শুনানির জন্য রেখা খাতুনকে মহকুমা শাসকের অফিসে ডাকা হলেও তিনি সেখানে হাজির হননি। শনিবার আমি জানতে পেরেছি, রেখা খাতুনের জাতিগত শংসাপত্রটি জাল প্রমাণিত হওয়ায় মহকুমাশাসক তাঁর পঞ্চায়েত সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছেন।’’
এ বিষয়ে রেখা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি আমি দলকে জানিয়েছি। দল যা করার করবে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তি আমার জাতিগত শংসাপত্রটি তৈরি করে দিয়েছিল। সে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি কোনও দুর্নীতি করিনি।’’ বেওয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রোজিনা বিবি বলেন, ‘‘দল গোটা ঘটনাটা জানে। আমরা কোনও রকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিই না। তবে ওই পঞ্চায়েত সদস্যা বেশ কিছু দিন ধরেই অফিসে আসেন না।’’