নিজস্ব চিত্র
রাজ্যপাল জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডের চার্জশিটে নাম থাকার কথা অস্বীকার করার পরেই সাংবাদিক বৈঠক তৃণমূলের। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন, ‘‘রাজ্যপাল শুধু চার্জশিটে নাম ছিল না বলেছেন। ওই ঘটনায় তিনি জড়িত ছিলেন না, একথা কিন্তু বলেননি।’’
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল এক জন আদ্যোপান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। হাওড়ার জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডের চার্জশিটেও ওঁর নাম ছিল।’’
অভিযোগের পরে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভুল তথ্য দিচ্ছেন। এখনও জৈন হাওয়ালা-কাণ্ডে কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। হাওয়ালা চার্জশিটে আমার নাম ছিল না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়।’’
সেই বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ফের সাংবাদিক বৈঠক করা হয় তৃণমূলের তরফে। বৈঠক থেকে সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বলেছেন, ওঁর নাম চার্জশিটে ছিল না। চার্জশিটে ছিল কি ছিল না, সেটা দেখতে হবে। প্রায় ৩০ বছরের মামলা, সব নথি খতিয়ে দেখে বলতে হবে। কিন্তু তিনি কোথাও বললেন না জৈন হাওলা কেসে তাঁর নাম যুক্ত হয়েছিল কি না। জৈন ডায়েরিতে যাঁদের নাম পাওয়া গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ওঁর নাম ছিল কি না, তা উনি একবারও বললেন না। ওঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে, অর্ধসত্য বলেছেন। আগামীকাল এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাব।’’
এ ছাড়াও রাজ্যপাল সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, এখনও ওই মামলায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। সেই বিষয়ে সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‘সেই সময় আদালতে বিচারকদের উপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছিল। সেই বিষয়ে প্রকাশ্যে বলেছিলেন বিচারকরা।’’ এটুকু তথ্য দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে গেলেও তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, বিষয়টি যতটা সরল করে রাজ্যপাল দেখাচ্ছেন, ততটা সোজা পথে তৃণমূল দেখছে না। এ ছাড়া রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়েও এ দিন তোপ দাগেন তিনি।