ডোমজুড় থেকেই রাজীবকে ফের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ দিলেন কল্যাণ। —ফাইল চিত্র।
সকালে কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। ছবিতে পরানো হয়েছিল জুতোর মালা। ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘মিরজাফর’ ‘গদ্দার’-এর মতো একাধিক বিশেষণও জুটেছিল। বিজেপি-তে যোগদানের পর প্রথম বার নিজের পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়ে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা গড়ালেও তাঁকে আক্রমণে ভাটা প়ড়ল না তৃণমূলের তরফে। রবিবার বিকেলে রাজীবের দিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড় থেকেই রাজীবকে ফের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ দিলেন কল্যাণ।
রবিবার বিকেলে হাওড়ার ডুমুরজলায় একটি জনসভা করে তৃণমূল। সেই জনসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদানকারী দলের এক কালের সঙ্গীদের তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ শানান কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন, অমিত শাহ তাঁদের বাঘ ভাবছেন। তবে এঁরা আসলে বেড়াল। ভোটের পরেই ইঁদুর হয়ে যাবেন।’’
জুমুরজলা থেকেই রাজীবের দিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন কল্যাণ। ডোমজুড়ের বিধায়ক পদ ছেড়ে সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া রাজীবের উদ্দেশে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘ভদ্রলোকের রক্ত থাকলে ডোমজুড় থেকেই যেন ভোটে দাঁড়ান (রাজীব)। যেন পালিয়ে না যান। এমন হারান হারাব যে দু’বছর ঘুমোতে পারবে না।’’
রাজীবের উদ্দেশে কল্যাণ যখন এই চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন, সে সময় হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজীব। রবিবার সকালে ডোমজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ার পর রাজীব বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা অধম হলেও আমি উত্তম হব না কেন!’’ সন্ধ্যায় কল্যাণের চ্যালেঞ্জের জবাবের পাল্টা হিসাবেও সরাসরি তরজায় যাননি তিনি। কল্যাণের আক্রমণ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডিজিটাল-কে বিজেপি নেতা রাজীব বলেন, ‘‘এখন কিছু বলব না। তিনি (কল্যাণ) জনসভা থেকে আক্রমণ করেছেন। আমিও জনসভা থেকেই জবাব দেব।’’