বিজেপি সভাপতি নড্ডা-সহ তাঁর দলের বিরুদ্ধে বাংলার সংস্কৃতিকে অসম্মানিত করার অভিযোগ করল তৃণমূল। —ফাইল চিত্র।
নবদ্বীপের জনসভায় বক্তৃতা করার সময় স্বামী বিবেকানন্দের নামের পাশে ঠাকুর পদবি জুড়ে তৃণমূলের তোপের মুখে পড়লেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। নড্ডাকে কটাক্ষ করা ছাড়াও তাঁর দলের বিরুদ্ধে বার বার রাজ্যের সংস্কৃতিকে অসম্মানিত করার অভিযোগও করল তৃণমূল। রবিবার এ নিয়ে টুইটারে সরব হন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে এসে পরিবর্তন যাত্রা শুরু করেছে বিজেপি। শনিবার নদিয়া জেলার নবদ্বীপে সেই কর্মসূচি শুরু করার আগে একটি জনসভায় বক্তৃতা করেন নড্ডা। সেই বক্তৃতায় স্বামী বিবেকানন্দকে বিবেকানন্দ ঠাকুর বলে উল্লেখ করেন নড্ডা। নিজের ভাষণে এক সময় তিনি বলেন, ‘‘এখানকার সংস্কৃতিকে রক্ষা করার কথা বলেন মমতাদি। এটা পরিবর্তনের কথা। এটা অরবিন্দের ভূমি। এটা বিবেকানন্দ ঠাকুরের মাটি... ।’’
বিবেকানন্দের পদবি নিয়ে নড্ডার সেই ভাষণের অংশের ভিডিয়ো রবিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে শেয়ার করেন তৃণমূল মহাসচিব। সেই সঙ্গে নড্ডাকে আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, ‘(নড্ডার) এমন কোনও একটা সফরও বাদ যায় না, যখন তিনি বাংলায় সংস্কৃতিকে অপমান করেন না। এটাই হলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। স্বামীজিকে বিবেকানন্দ ঠাকুর বলে ফের এক বার বাংলার মনীষীকে অসম্মান করলেন তিনি’।
তৃণমূল মহাসচিবের মতোই নড্ডাকে আক্রমণ করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শনিবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমার জেলায় এসে স্বামীজিকে বিবেকানন্দ ঠাকুর বলে ডেকেছেন জেপি নড্ডা!!! বিজেপি-র জগতে ধনবানদেরও যখন যোগী বলা হয়, তখন আশ্চর্যের নয় যে তাঁরা মনীষীদের নাম সঠিক ভাবে বলতে পারবেন না’।
শনিবারই কাঁথির সভা থেকে বিজেপি তথা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, তার পর দিনই নড্ডাকে পাল্টা নিশানা করল তৃণমূল।