(বাঁ দিক থেকে) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিস পাঠালেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁর সঙ্গে দুর্নীতিতে কাকলিও জড়িত বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেই নোটিসটি পোস্ট করেন তিনি। সঙ্গে কাকলি লেখেন, ‘‘আমার এবং আমার পরিবারের সবাই খেটে খাওয়া মানুষ, আমরা অনৈতিক ভাবে কোনও উপার্জন করি না। অন্যায়ের সাথে আপস করি না। আমাদের নামে যে ভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে তার জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে মানহানির আইনি নোটিস পাঠালাম।’’
সাংসদের তরফে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে পাঁচ পাতার এই নোটিসটি পাঠিয়েছেন সাংসদের আইনজীবী প্রসেনজিৎ নাগ। ঘটনায় প্রকাশ, জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেফতারির পর রানাঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু একটি মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে দাবি করা হয়েছে, “সমাজমাধ্যমে বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও জড়িত।’’’ এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নোটিসে বলা হয়েছে, “কাকলি শুধু এক জন রাজনীতিকই নন, এক জন নির্বাচিত সাংসদ এবং নামী চিকিৎসকও। তাই বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে তাঁর এবং পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে। নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃর্শত ক্ষমা না চাইলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।”
সামজমাধ্যমের যে লিঙ্কে শুভেন্দু ওই মন্তব্য করছেন, সেই লিঙ্কও তুলে দেওয়া হয়েছে মানহানির নোটিসে। বারাসতের তৃণমূল সাংসদের পাঠানো নোটিসে বিশেষ পাত্তা দিতে চাননি বিরোধী দলনেতা। তাঁর ছোট্ট জবাব, ‘‘এই নোটিসের জবাব আইনি পথেই দেওয়া হবে।’’ রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। সেই সময় জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে তাঁর নাম জড়াক, চান না কাকলি। তাই তিনি শুভেন্দুর মন্তব্যের কথা জানার পরেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বলে মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। কাকলি যে বারাসত লোকসভার সাংসদ, জ্যোতিপ্রিয় সেই লোকসভার অধীনে হাবড়া বিধানসভার বিধায়ক।