হুমায়ুনের অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র
প্রতি বছরের মতো এ বারও দলনেত্রীর ৬৮তম জন্মদিন পালন করলেন ভরতপুর কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রের ভরতপুর ২ ব্লকের ডাকবাংলোর ময়দানে ওই উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয়। এ দিন জঙ্গিপুরেও ৩০ পাউন্ডের কেক কেটে নেত্রীর জন্মদিন পালন করা হয়।
ভরতপুরে এ দিন প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যয় করে অনুষ্ঠান হয়েছে। এলাকার এক হাজার দুঃস্থ মানুষকে শীতবস্ত্র (কম্বল), দু’শো জনকে শাড়ি ও ৪০ জনকে চাদর প্রদানের মাধ্যমে জন্মদিন পালন করার পাশাপাশি নেত্রীর ৬৮ বছরে পা দেওয়ার কারণে ৬৮ পাউন্ডের কেক কেটে জন্মদিন পালিত হয়। বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “আমরা আমাদের নেত্রীকে পরিবারের লোক বলেই মনে করি। তাই এদিন সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে আমাদের নেত্রীর জন্মদিন পালন করেছি।”
এই টাকা কে দিলেন? হুমায়ুনের জবাব, ‘‘পুরো টাকাই আমি দিয়েছি।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, “আমাদের নেত্রী মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করতে ভালোবাসেন। সেই কারণে এলাকার দুঃস্থ মানুষদের শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়েছে।”
গত ৩ জানুয়ারি ১০ লাখ টাকা খরচ করে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ৬০তম জন্মদিন পালন করেছিলেন। সেখানে ৪ হাজার দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা ছিল। সন্ধ্যায় ৬০পাউন্ড কেক কাটা হয়। বাংলাদেশ ও কলকাতা থেকে অভিনেত্রীদের নিয়ে বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। বিধায়কের ঘটা করে নিজের জন্মদিন পালন করাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোলও ওঠে।
তার পরে এ দিন নেত্রীর জন্মদিনে ‘খরচের পরিমাণ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। দলের একাংশের দাবি, সদ্য নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন আড়ম্বর নয়, নিয়ম রক্ষার্থেই দলের অনুষ্ঠান করতে। কিন্তু তারপরেও হুমায়ুন কবীর সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করেই ওই দিন বেশ ঘটা করেই নেত্রীর জন্মদিন পালন করেন।
হুমায়ুনের কথায়, ‘‘আমাদের পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্মদিন পালন করার কথা ছোটরা ভাবলে, বড়রা সব সময় বারণ করেন।’’ হুমায়ুন বলেন, “আমাদের নেত্রী আমাদের পরিবারের সদস্য। তাই উনি বারণ করবেন। কিন্তু তাঁকে সম্মান জানিয়ে আমি তাঁর জন্মদিন পালন করেছি।” তিনি আরও বলেন, “উনি যতই বারণ করুন না কেন, আমি এমন কাজ আগামী বছরগুলিতেও পালন করে যাব।”