মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা কমিটি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে রিপোর্ট দেবেন। ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থীর কাছে হার মানতে হয়েছে তৃণমূলকে। সেই ঘটনার পর দলের পাঁচ নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বৈঠক করল সেই কমিটি। বিধানসভায় মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ঘরে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান ও সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী বৈঠক করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বারের পর শুক্রবার আবারও বৈঠকে বসবে কমিটি। সেখানেই একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। রিপোর্ট তৈরি করার পর মুখ্যমন্ত্রীর সময় চাওয়া হবে। তিনি সময় দিলেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে সেই রিপোর্ট। সাগরদিঘি প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ জন নেতাই পৃথক পৃথক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও, দলগত ভাবে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান সাগরদিঘির বিপর্যয় নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। শনিবার আরও একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
সূত্রের খবর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, যে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে সাগরদিঘি বিধানসভা তৈরি হয়েছে, তার সবক’টিতেই কেন পিছিয়ে পড়ল শাসকদল। সঙ্গে প্রার্থী নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা-ও ফের অনুসন্ধান করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। দলের তরফে কোনও অন্তর্ঘাত হয়েছে কি না, তা-ও শুক্রবারের বৈঠকে আলোকপাত করা হবে। বৈঠকের পর সিদ্দিকুল্লা বলেন, “আমাদের যে আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ্যে বলার জন্য নয়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমরা সেই দায়িত্ব পালন করে তাঁর হাতে রিপোর্ট তুলে দেব।” সাগরদিঘির হার প্রসঙ্গে যে সব ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন কমিটির এক সদস্য। উল্লেখ্য, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে ২২,৯৮০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হারের পরেই কারণ জানতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা কমিটি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে রিপোর্ট দেবেন।