এই নিয়ে পঞ্চম বার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। ফাইল চিত্র।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তা নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার আবার তলব করা হয়েছিল শান্তনুকে। ইডির দফতর থেকে বেরোনোর সময় শান্তনু শুধু বলেছেন, ‘‘তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। এখন কিছু বলা মানে তাতে হস্তক্ষেপ করা। তাই আমি কিছু বলব না।’’
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তলব পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের কিছু পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে যান শান্তনু। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর সেখান থেকে বেরোন তিনি। এই নিয়ে পঞ্চম বার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন শান্তনু। বুধবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকেরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়েছিল বলেই ইডি সূত্রে খবর।
হুগলির বলাগড়ের অন্য এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পরেই শান্তনুর নাম উঠে আসে। এই দুর্নীতিতে তাঁর সংস্রবের কথা প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছেন শান্তনু। কুন্তলকে তিনি চেনেন না বলেও দাবি করেন। তবে ইডির দাবি, ২০১৪ সাল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কুন্তল এবং শান্তনু। ইডি সূত্রের দাবি, এই কারবারে কুন্তলের ‘মেন্টর’ ছিলেন শান্তনু। এই দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের দাবি, শান্তনুর সঙ্গে কুন্তলই তাঁর পরিচয় করিয়েছিলেন। শান্তনু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, ‘‘শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কথা আমি বলতে পারব না। আমি জানি না।’’