প্রতীকী ছবি।
নিমতার তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুর হত্যাকাণ্ডে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তার নাম সঞ্জয় দাস। ঘটনার দিন সে মোটরবাইক চালাচ্ছিল। তার বাইকেই বসে ছিল খুনি। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল তিন। ধৃতদের জেরা করে খুনির খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার নির্মলের বাড়ি গিয়ে তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সিআইডি সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তারা তদন্তভার হাতে নেয়নি। সেই প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগই তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
নিমতার পাটনা-ঠাকুরতলায় নিজের বাড়ির সামনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন নির্মল। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জ়োন-১) আনন্দ রায় জানান, যে-মোটরবাইক থেকে নির্মলকে গুলি করা হয়েছিল, সেটি চালাচ্ছিল সঞ্জয়। তার বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়ার ধর্মতলায়। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। বৃহস্পতিবার রাতে গোবরডাঙায় ধরা পড়ে সে।
পুলিশ জানায়, সঞ্জয়কে ভাড়া করেছিল এই ঘটনায় ধৃত সুমন কুণ্ডু। নির্মলের পাড়ার বাসিন্দা সুমনই ‘টার্গেট’ বা নির্মলকে চিনিয়ে দিয়েছিল ভাড়াটে খুনিদের। নির্মল ছিলেন উত্তর দমদম ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি। ঘটনার কয়েক দিন আগে তাঁর সঙ্গে সুমনের গোলমাল হয়েছিল। সেই ঘটনায় সুমন এবং সুজয় ঘোষ নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সুজয় ইদানীং ওই পাড়াতেই থাকত। নির্মল-হত্যায় সে সুমনের সঙ্গী ছিল।
পুলিশ জেনেছে, নির্মলকে মারতে পেশাদার খুনি নিয়োগ করা হয়েছিল। সুমন ৪ জুন সন্ধ্যায় নির্মলের বাড়ির কাছাকাছি অপেক্ষা করছিল। তার পিছনে চার দুষ্কৃতী ছিল দু’টি বাইকে। নির্মলকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখে সুমন গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে। এ ভাবেই খুনিরা তাঁকে চিনে নেয়। প্রথমে একটি বাইকে দুই দুষ্কৃতী নির্মলের
পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের বাইকের দুষ্কৃতীরা দু’টি গুলি ছোড়ে নির্মলকে লক্ষ্য করে। একটি গুলি লাগে নির্মলের মাথায়। চলন্ত বাইক থেকে যে-ভাবে গুলি চালানো হয়েছে, সেটা পেশাদার খুনি ছাড়া সম্ভব নয় বলে মনে করছে পুলিশ।