Kunal Ghosh Suraj Singh

ছবি কি সত্যিই কথা বলে? জয়ন্তের পাল্টা সূরয! ‘মত্ত’ যুবনেতার সঙ্গে শুভেন্দুদের ছবি দিয়ে কুণালের দায়-প্রশ্ন

সূরযের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিত শাহ এবং কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের ছবি রয়েছে। কুণাল লিখেছেন, ‘‘অনেকের সঙ্গে ছবি দেখছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:৫০
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

উত্তর কলকাতার বিজেপির যুবমোর্চার নেতা সূরয সিংহের ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একাধিক পোস্টে বিভিন্ন ছবি দিয়ে কুণাল বুধবার লিখেছেন, ‘‘উত্তর কলকাতা বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সূরয সিংহ। মাতাল হয়ে গড়াগড়ি। ওর লোকেরাই দিল। ছবি, ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করিনি।’’ সেই সব ছবির কোনওটায় দেখা যাচ্ছে সূরয ‘ভারসাম্যহীন’ হয়ে ফটপাথে বসে রয়েছেন। কোনওটায় ফুটপাথে চিতপাত হয়ে শুয়ে রয়েছেন। বিজেপির যুবনেতার ‘মত্ত’ অবস্থার যে সমস্ত ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন কুণাল, তার সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে প্রশ্ন উঠেছে, আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিংহের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের একাংশের ছবি প্রকাশ্যে আসায় যে শোরগোল পড়েছিল, কুণাল কি তারই ‘পাল্টা’ দিলেন?

Advertisement

সূরযের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের ছবি রয়েছে। সেগুলিও প্রকাশ্যে এনেছেন কুণালই। তার পরে লিখেছেন, ‘‘অনেকের সঙ্গে ছবি দেখছি। ছবি থাকলেই অপকর্মের দায় নেবেন তো? বিজেপি কিছু বলবে?’’ আড়িয়াদহের তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত সিংহ ওরফে ‘জায়ান্ট’-এর সঙ্গে মদন মিত্র, সৌগত রায়দের ছবি নিয়ে ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। তৃণমূলের অনেকের বক্তব্য, বুধবার সূরযের ছবি দিয়ে জয়ন্তের ‘পাল্টা’ দিয়েছেন কুণাল।

ওই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরে সূরযকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও কোনও জবাব দেননি। তবে যাঁদের সঙ্গে সূরযের ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন কুণাল, তাঁদের এক জন কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল স্পষ্টই বলেন, ‘‘ছবি দিয়ে অনেক কিছুই বোঝা যায়।’’ সূরযের এই ছবি এবং ঘটনায় যে বিজেপির ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লেগেছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন সজল। তিনি বলেন, ‘‘সূরযকে কেউ মদ খাইয়ে দিয়েছে, না তিনি নিজে খেয়েছেন তা বিচার্য নয়। তাঁর এই ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। দল আজকালের মধ্যেই সবটা বিচার-বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিয়ে নেবে।’’ তবে পাশাপাশিই সজল কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘মনে রাখবেন, এই মাতালদের জন্যই বাংলার অর্থনীতি টিকে রয়েছে!’’

Advertisement

অনেকের বক্তব্য, জয়ন্ত তৃণমূলের কোনও ‘পদাধিকারী’ ছিলেন না। কিন্তু সূরয বিজেপির একটি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি। ফলে বিজেপির কাছে বিষয়টি অনেক বেশি ‘বিড়ম্বনার’। আবার অন্য একাংশের বক্তব্য, আড়িয়াদহে জয়ন্ত-বাহিনী যা যা ঘটিয়েছে তার যে অভিঘাত, তার সঙ্গে বিজেপি যুবনেতার ঘটনার অনেক ফারাক রয়েছে। আড়িয়াদহের ঘটনা ঘৃণ্য এবং নিকৃষ্টতম অপরাধ। আর সূরযের ঘটনা স্খলন। দু’টি ঘটনার মধ্যে মৌলিক ফারাক রয়েছে। তবে বিজেপি যে ‘সূরযকাণ্ডে’ অস্বস্তিতে, তা স্পষ্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement