অভিজিতের টুইট নিয়ে কী ভাবছে তৃণমূল? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তৃণমূল নেতা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় কথা বলেছেন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে। টুইট করে কংগ্রেস নেতাদের আবেদন করছেন সভাপতি পদে মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে মনোনীত করতে! প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিতের এহেন বক্তব্যে শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিতর্ক দানা বাঁধতেই অভিজিতের সঙ্গে কথা বললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার আনন্দবাজার অলাইনকে কুণাল জানালেন, অভিজিতকে নিয়ে তৃণমূল কোনও ভাবে অস্বস্তিতে নেই। নিজের অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন অভিজিৎ।
সোমবার, ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের প্রায় ৯ হাজার জন প্রতিনিধি ভোট দিয়ে বেছে নেবেন সনিয়া গান্ধীর ‘উত্তরসূরি’। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট দেবেন তাঁরা। ভোট দেবেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় শামিল রাহুল গান্ধীও। সেই ভোটে মল্লিকার্জুনকে ভোট দিতে কংগ্রেস নেতাদের আবেদন করেন অভিজিৎ। সোমবার এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘খাড়্গেজি প্রবীণ এবং বিচক্ষণ নেতা। উনি লোকসভায় কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমি নিশ্চিত যে কংগ্রেস সভাপতি হয়ে উনি কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’ অভিজিতের এই টুইটের পর তাঁর সঙ্গে কথা বলেন কুণাল।
আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে অভিজিৎবাবুর কথা হয়েছে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য নেই।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘অভিজিৎবাবু তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূলেই আছেন।’’ কিন্তু তার পরে কেন এই টুইট? কুণালের ব্যাখ্যা, ‘‘বাংলার পুরনো কংগ্রেস কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে আসল কংগ্রেস বলে মনে করেন। অভিজিৎবাবুও তেমনই এক জন কংগ্রেস কর্মী। এঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের শীর্ষ নেত্রী হিসাবে দেখতে চান। তাই হয়তো তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।’’
পাশাপাশি, এমন টুইটের জন্য দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নজরেও অভিজিৎ পড়ছেন না বলে জানান কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘অভিজিৎবাবুকে নিয়ে তৃণমূলের কোনও সমস্যা ছিল না। আজও নেই। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে ওঁর কথা হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের টিকিটে দু’বারের সাংসদ এবং এক বারের বিধায়ক অভিজিৎ গত বছরের জুলাই মাসে তৃণমূলে যোগ দেন। বাংলায় কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে অভিজিতের সহোদরা শর্মিষ্ঠা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তাই তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে অভিজিতের ঘাসফুল আঁকা পতাকা তুলে নেওয়ার অব্যবহিত পরে টুইটে লিখেছিলেন, ‘স্যাড’ (দুঃখজনক)।