রামনবমীতে অশান্তির তদন্ত করবে এনআইএ, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই তরজা রাজনীতিতে। ফাইল চিত্র।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে হিংসার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের এনআইএ তদন্তের নির্দেশ সম্পর্ক প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এনআইএ, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বরাবরই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এমনকি, এনআইএ তদন্তের নির্দেশে হাওড়ার রামনবমী হিংসাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীরা নিশ্চিন্ত হবে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্য দিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ‘রামনবমী এনআইএ’ শীর্ষক টুইটে কুণাল লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থা বিজেপিকে আড়াল করে। মুঙ্গেরবাহিনী নিশ্চিন্ত হল। বিজেপি ও কেন্দ্রের ছক (প্লট): প্রথমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করো, তার পর এনআইএ-র প্রবেশের মঞ্চ করে দাও। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এনআইএ দেখতে পায় না। যেমন সিবিআই এফআইআর-এ নাম থাকা শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ায় সিবিআই গ্রেফতার করে না।’’
প্রসঙ্গত, হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে প্রকাশ্যে রিভলভার উঁচিয়ে গোলমাল করার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সুমিত সাউকে গত ৪ এপ্রিল বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করেছিল হাওড়া গোয়েন্দা পুলিশ। কুণাল তাঁর টুইটে সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুমিতের ছবি টুইট করার পরেই তাঁকে মুঙ্গেরে গিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সে সময় কুণাল অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি মুঙ্গের থেকে দুষ্কৃতী এনে বাংলায় গোলমাল করেছে।
রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করতে হবে। সুকান্ত হাই কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাগুলির তদন্তের দায়িত্ব এনআইএ-তে হস্তান্তরের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই৷ ওই হিংসার ঘটনাগুলি পূর্বপরিকল্পিত। তৃণমূল সরকার তাতে উস্কানি দিয়েছিল।’’ রামনবমীকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত।