কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,কুণাল ঘোষ এবং বাবুল সুপ্রিয়।
একই সঙ্গে রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে গোষ্ঠী বিবাদ চলছে। একদিকে তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম দলেরই নেতা কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কে জড়িয়েছেন। অন্য দিকে, রাজ্য বিজেপি-তেও ক্ষোভ বিক্ষোভের পরিবেশ। দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণ চেয়ে দলেরই একাংশ সরব। সোমবার কলকাতার রাজপথে তা নিয়ে পোস্টার পড়তেও দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যে সংবাদ প্রকাশ করে তার স্ক্রিন শট নিয়ে একটি টুইট করেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর তাতেই পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক নেটাগরিক। তারই জবাব দিতে গিয়ে কল্যাণ-কুণাল বিবাদকে ‘একজন দু'জনকে নিয়ে সাময়িক বিতৰ্ক তো সব দলেই হয়, হতেই পারে’বলে মন্তব্য করেছেন বাবুল।
প্রথমে বাবুল স্ক্রিন শট-সহ যে টুইটটি করেন তাতে লেখেন, ‘এ সব নোংরামিতে / খেয়োখেয়িতে থাকতেই চাই না, থাকতামও না তাই 'ছোট্ট মনের অর্বাচীন নেতৃত্ব' সম্পর্কে আগাম সাবধান করে দলটাই ছেড়ে দিয়েছি।’একই সঙ্গে আসানসোলের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীই জিতবে বলে দাবি করে বাবুল লেখেন, ‘একমাত্র লক্ষ্য হবে দিদির সরকার ও নতুন সাংসদের সঙ্গে মিলেমিশে দ্রুত আসানসোলের জন্য কাজ করা।’ এর পরেই এক নেটাগরিক প্রশ্ন তোলেন, ‘কল্যাণবাবুর কী অবস্থা এখন? ওঁর অভিযোগের পরে পোস্টার জ্বালানো হচ্ছে দেখলাম। অবশ্য ওগুলো নোংরামি না?’এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন বাবুল। লিখেছেন, ‘একজন দু’জন কে নিয়ে সাময়িক বিতৰ্ক তো সব দলেই হয়, হতেই পারে, কিন্তু সমগ্র দলটার এরকম হোলসাম অবক্ষয় কোন রাজনৈতিক দলে শেষ দেখেছেন মনে করে দেখুন?’